শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ব্যবহার করি বাথরুমের দরজার হাতল হিসেবে : নাসিরুদ্দিন শাহ

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ব্যবহার করি বাথরুমের দরজার হাতল হিসেবে : নাসিরুদ্দিন শাহ

স্বদেশ ডেস্ক:

ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ। তবে ঠোঁটকাটা স্বভাবের কারণে প্রায়শই বিতর্কে জড়ান ‘এ ওয়েডনেস ডে’ অভিনেতা। দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের একাধিক মনের মতো ছবি উপহার দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন, পেয়েছেন অজস্র পুরস্কারও। তবে নাসিরের চোখে পুরস্কারের কোনো মূল্যই নেই! সম্প্রতি এমনই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি।

এখনও পর্যন্ত নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। ‘পার’, ‘স্পর্শ’, ‘ইকবাল’ ছবির জন্য এই সম্মান এসেছে তার ঝুলিতে। এছাড়াও তার ঝুলিতে রয়েছে তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ‘আক্রোশ’, ‘মাসুম’, ‘চক্র’র মতো ক্লাসিক ছবির জন্য এই পুরস্কারে সম্মানিত হন নাসিরুদ্দিন। যদিও তার মতে, এসব প্রাপ্তি পুরোটাই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের নোংরা রাজনীতির খেলা। পুরস্কার আদতে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লবির প্রতিফলন মাত্র, বিশ্বাস নাসিরুদ্দিনের।

লল্লনটপকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তার কাছে এই সব পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়, সত্যি কি তার বাড়িতে দরজার হাতল হিসেবে পুরস্কার ব্যবহৃত হয়। সোজাসাপটা ভঙ্গিতে অভিনেতা বলেন, ‘যেকোনো অভিনেতা যিনি একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে জান-প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন, তিনি ভালো অভিনেতা। যদি সবার মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেয়া হয়, আর বলা হয় সবার মধ্যে ইনি সেরা, তাহলে সেটা কি ঠিক? আমার মনে হয় না। আমি ওই অ্যাওয়ার্ডগুলো নিয়ে গর্বিত নই। আমি তো শেষ দুটি পুরস্কার গ্রহণ করতেও যাইনি। তাই যখন আমি খামারবাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নিই, তখন সেই অ্যাওয়ার্ডগুলো ওখানে রাখার ব্যবস্থা করি। যারাই ওয়াশরুমে যাবে তারা দুটি অ্যাওয়ার্ড হাতে পাবে, কারণ বাথরুমের দরজার হ্যান্ডেল ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দুটি’।

নাসিরের কথায়, ‘আমার কাছে ওই সব ট্রফির কোনো মূল্য নেই। আমার বিশ্বাস ওই অ্যাওয়ার্ড লবির ফসল। কেউ তার কাজের জন্যই পুরস্কৃত হয় তেমনটা নয়। একটা সময় যখন পুরস্কার ত্যাগ করা শুরু করলাম, তারপর এলো পদ্মশ্রী আর পদ্মভূষণ সম্মান। ওই মুহূর্তে আমার মনে পড়েছিল আমার পরলোকগত বাবার কথা। তিনি বলতেন, আমি এসব ফালতু কাজ করলে নিজেকে গাধা প্রমাণ করে ছাড়ব। রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, বাবা কি আজ এইগুলো দেখছে কোথাও থেকে? সেদিন মনে হয়েছিল উনি নিশ্চয় গর্বিত। ওই পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিতবোধ করেছিলাম। তবে ওই ফিল্মি অ্যাওয়ার্ডে আমার আস্থা নেই।’

শেষবার নাসিরুদ্দিনকে দেখা গিয়েছে ‘তাজ : রেইন অফ রিভেঞ্জ’ সিরিজে। গত মাসেই জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে এই পিরিয়ড ড্রামা সিরিজ।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877