শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আয়কর কতটা যৌক্তিক

ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আয়কর কতটা যৌক্তিক

স্বদেশ ডেস্ক:


নতুন বাজেটে রিটার্ন দাখিল করলেই দুই হাজার টাকা কর দেয়ার যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে, এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমগুলোয় অনেকেই এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে একে অন্যায্য বলে বর্ণনা করেছেন। আবার অনেকে এর পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।

বাজেটে বলা হয়েছে, আয় না থাকলেও একজন টিআইএনধারী ব্যক্তিকে আয়কর সনদ নিতে হলে দুই হাজার টাকা ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে। ৪৪ ধরনের সেবা নিতে হলে এই আয়কর সনদ জমা দিতে হবে।

বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমি করযোগ্য আয়ের কম কিন্তু সরকারে এই অংশগ্রহণ প্রচারের লক্ষ্যে সরকার থেকে সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এমন যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।‘

বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৮ লাখ মানুষের কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন রয়েছে। তবে গত বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ৩২ লাখ মানুষ। সরকার নতুন অর্থ বছরে যে বিপুল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, সেটা পূরণে নূন্যতম আয়কর আদায়ের এই পথ সরকার নিয়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।

ন্যূনতম আয়কর নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যেসব মতামত
বাজেট ঘোষণার পরেই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ওই প্রস্তাবনার সমালোচনা করে বলেন, ‘যার করযোগ্য আয় নেই, তার জন্য কর বাধ্যতামূলক করা বৈষম্যমূলক ও অন্যায্য। মানুষের জন্য বোঝা হয়ে যাবে।’

তিনি বলেছেন, ‘’যে কর দেওয়ার যোগ্য, ক্ষমতা-আয় আছে সেই তো কর দেবে, কিন্তু যার নাই তার ওপর আবার বসিয়ে দিলাম। এটা সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক। নৈতিকভাবেও এটা ঠিক না। এটা অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে। ফলে মূল যে উদ্দেশ্য ছিল সেটিও নষ্ট হয়ে গেল।‘’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে। আয়কর দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে এখনো ভীতিও রয়েছে। সেখানে আয়কর রিটার্ন দাখিলে দুই হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হলে সেটা অনেককে কর দেয়া থেকে অনুৎসাহিত করে তুলতে পারে।

ন্যূনতম আয়করে পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বাজেট উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিব বলেন, ‘কাদের টিআইএন থাকতে হয়, টিআইএন বাধ্যতামূলক কাদের, সেই লিস্টটা যদি সামনে নেন, তাহলে সেখানে দেখবেন টিআইএন বাধ্যতামূলক আমদানিকারক, রফতানিকারক, ট্রেড লাইসেন্সধারীর জন্য, কমিশন এজেন্সির জন্য। টিআইএন বাধ্যতামূলক পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি, গাড়ির জন্য।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ গরিব মানুষের কোনো অসুবিধা হবে না, সাধারণ গরিব মানুষের তো টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়।’

জাতীয় বাজেট
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন নম্বর থাকলেই বছর শেষে আয়ের হিসাব দিতে হয়। কিন্তু বাস্তবে এক তৃতীয়াংশ মানুষ এরকম রিটার্ন দাখিল করেন। গত অর্থ বছরের বাজেটে ৩৮ ধরনের সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হলে তাতে রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ খুব বেশি বাড়েনি।

নতুন অর্থবছরে এরকম সেবার তালিকা বাড়িয়ে ৪৪টি করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এর ফলে যারা এসব সেবা নিয়ে আসছেন, কিন্তু কর দেন না, তাদের কাছ থেকে রাজস্ব পাওয়া যাবে।

বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার, অন্যান্য সিটি করপোরশন এলাকায় বসবাসরত ব্যক্তিদের জন্য ন্যূনতম চার হাজার এবং সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে বসবাসরত ব্যক্তি শ্রেনীর করদাতাদের জন্য ন্যূনতম তিন হাজার টাকা করের বিধান আছে। এ বিধানটি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

অর্থনীতিবিদ এবং অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত মনে করেন, ‘আয়কর দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা কাকে দিতে হবে? যে টিআইএন হোল্ডাররা ৪৪ ধরনের সেবা নিতে চাইবেন, সেজন্য যারা রিটার্ন দেবেন, তাদের এই দুই হাজার টাকা দিতে হবে। কারণ যারা এসব সেবা নিতে চাইবেন, তারা আসলে কোনো না কোনোভাবে অর্থনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।‘

এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলছেন, যার আয় নেই, তিনি তো আর পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেবেন না বা ক্রেডিট কার্ড নেবেন না, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানো বা গাড়ি কিনবেন না। এতদিন তারা হয়তো কোনো আয় নেই দেখিয়ে রিটার্ন জমা করতেন। কিন্তু সরকার যে ৩৮ বা ৪৪ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা দিয়েছে, সেই সুবিধা তারা নিতেন।

‘হয়তো তারা রিটার্ন জমা দিতেন না বা রিটার্ন জমা দিলেও আয় নেই বলে দেখাতেন। কিন্তু এখন এসব সেবা নিতে হলে তাদের ন্যূনতম এই করটা দিতে হবে। আর সারা বছরের হিসাব করলে এসব কর্মকাণ্ড থেকে তাদের যে আয় হয়, তার তুলনায় দুই হাজার টাকা বেশি নয়। যারা এসব সেবা নিতে চাইবেন না, তাদের তো আর এই ন্যূনতম কর দিতে হচ্ছে না,’ তিনি বলছেন।

বাজেটে ন্যূনতম কর আদায়ের প্রস্তাবনার বিষয়ে শনিবার ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনে ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল, তারা ওই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

কারণ তিনি বলছেন, আইনে সকল টিআইএনধারীর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনো বেশিরভাগ মানুষ রিটার্ন দেন না। কিন্তু সরকারের ৪৪ ধরনের সেবা নিতে যারা রিটার্ন দাখিল করবেন, তারা এমনিতেই করের আওতার ভেতরে চলে এসেছেন।

প্রতিষ্ঠানটির ট্যাক্সেসন কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সরকার ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দেয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছে, এই কর কিন্তু ইতোমধ্যেই সবাইকে দিতে হচ্ছে। পাঁচ লাখ টাকার ওপরে সঞ্চয়পত্র বা ডিপোজিটের মুনাফা থেকে উৎস কর কেটে রাখা হচ্ছে। তাতে যে পরিমাণ কর উৎসে কেটে রাখা হচ্ছে, সারা বছরের হিসাব করলে সেটা কিন্তু দুই হাজার টাকার কাছাকাছি বা বেশি হতে পারে।‘

তিনি বলছেন, কিন্তু অনেকেই এভাবে কর দিলেও রিটার্ন জমা দেন না। আবার অনেকের এরকম আয় থাকলেও সেটা রিটার্নে দেখান না। কিন্তু এই উৎসে কেটে রাখা কর বছর শেষে আয়কর রিটার্নের সাথে সমন্বয়ের সুযোগ রয়েছে। সেটা হিসাব করলে অনেককে আর কোনো টাকা দিতে হবে না, বরং রিফান্ডও পেতে পারেন।

এ নিয়ে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।

যেমন শওগাত আলী সাগর নামে একজন লিখেছেন, ‘রিটার্নের প্রমাণপত্র পেতে করদাতাকে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে বলে বাজেটে যে প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অযৌক্তিক। এটা সত্য, উন্নত বিশ্বে ১৮ বছর হলেই নাগরিককে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। কিন্তু তার জন্য কোনো ন্যূনতম ফি দিতে হয় না।‘

আবার ভিন্ন মত জানিয়ে লালন সিদ্দিকী নামে একজন তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ’বছরে ২ হাজার আয়কর দেওয়া নিয়ে অনেক কথা। আপনার আমার আয়কর দিয়ে শুধু সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়না, এরকম আরও অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করা হয়। এতো গোসসা না করে দেশ গঠনে, দেশের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অংশগ্রহণ করুন। বেশি না, মাত্রই তো ২ হাজার টাকা। যাদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর গ্রহণ করার প্রস্তাবনা এসেছে তারা আমরা কাজে অকাজে অনেক কাজে ২ হাজার টাকা ব্যয় করে থাকি।‘

রাজস্ব আয় কতটা বাড়াতে পারবে এই নীতি?
২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

সিপিডির হিসাবে, এই লক্ষ্যমাত্রা বর্তমানে রাজস্ব আদায়ের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিপুল রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি আদায়ের জন্যই রাজস্ব আয়ের নতুন পথ তৈরি করছে সরকার। এজন্যই ন্যূনতম কর আদায়ের প্রস্তাবনা করা হয়েছে।

তবে ড. জায়েদ বখত মনে করছেন, সরকারের এই কৌশল থেকে যে রাজস্ব খুব বেশি বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন না।

তিনি বলেন, ‘দুই হাজার করে ধরলেও এর পরিমাণ খুব বেশি হবে না। অনেকে অগ্রিম আয়কর সমন্বয় করলে তাহলেও খুব বেশি টাকা এখানে যোগ হবে বলে মনে হয় না।‘

ড. বখত মনে করেন, সরাসরি কর বাড়াতে হলে সরকারের বিকল্প পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন চিকিৎসকরা রোগী দেখে যে আয় করেন, আইনজীবীদের আয়- এগুলো পুরোপুরি করের আওতায় আসে না। বাড়ি ভাড়া দিয়ে যারা আয় করেন, সেসব আয় পুরোপুরি করের আওতায় দেখানো হয় না। ভ্যাট, ব্যবসার আয়ও পুরোপুরি আয়কর রিটার্নে তুলে ধরা হয়না।

এসব ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি বা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

টিআইএন কি বাতিল করা যাবে?
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কর শনাক্তকরণ নম্বর থাকলে তাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। রিটার্ন দাখিল না করলে সাজা বা জরিমানার বিধান রয়েছে। যদিও বাংলাদেশের মোট টিআইএন নম্বরধারীর দুই-তৃতীয়াংশই এখনো রিটার্ন দাখিল করেন না।

একবার রিটার্ন দাখিল করার পর থেকে কোনো বছর রিটার্ন জমা না দেয়া হলে জরিমানা হবে।

কিন্তু কারো যদি দুই হাজার টাকা আয়কর দেয়ার মতো সামর্থ্য না থাকে, তিনি আর করের আওতায় যদি থাকতে না চান, তিনি তাহলে কী করতে পারেন?

এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কারো করযোগ্য আয় না থাকলে বা আয় কর আরোপযোগ্য সীমার নিচে নেমে গেলে টিআইএন স্থগিত বা বাতিল করার সুযোগ রয়েছে।

সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপ-কর কমিশনারের বরাবর টিআইএন বাতিলের জন্য কারণ ব্যাখ্যা করে আবেদন করা যেতে পারে। উপ-কর কমিশনার এই বিষয়ে তদন্ত বা শুনানি করে অথবা আবেদনের ওপর ভিত্তি করেই টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।

যেসব সেবা পেতে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে
টিআইএন নম্বর থাকলেও ২০২৩-২০২৩ অর্থবছর থেকে ৪৪ ধরনের সেবায় আয়কর প্রাপ্তিস্বীকার পত্র জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যারা এসব সেবা নিতে চাইবেন, তাদের অবশ্যই রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে :

* পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কেনা
* ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেয়া
* রিটার্নে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র না থাকলে ব্যাংকে জমা টাকার সুদ থেকে উৎসে কর ১৫ শতাংশ কাটা হবে, প্রাপ্তিস্বীকার পত্র থাকলে ১০ শতাংশ কাটা হবে।

* সিটি কর্পোরেশন বা জেলা সদরের পৌর এলাকা অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের জমি, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি, বিক্রি বা হস্তান্তর করতে হলে

* ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে
* গাড়ি ক্রয়, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন করতে
* সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়াম বা ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি করাতে

* বাণিজ্যিক বা শিল্প কলকারখানায় গ্যাসের সংযোগ নিতে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাসের সংযোগ নিতে বা বহাল রাখতে
সিটি কর্পোরেশন বা সেনানিবাস এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে
* জমি বা বাড়ি ভাড়া দিয়ে আয়
সরকারি, আধাসরকারি, কর্পোরেশন থেকে মূল বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি হলে
* বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন নিতে হলে
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আয় ১৬ হাজার টাকার বেশি হলে
* মহানগরে ভবন নির্মাণের অনুমোদন চাইলে

* জাতীয় সংসদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা বা উপজেলায় প্রার্থী হলে
* পেনশন ফান্ড,অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি ফান্ড, স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড, অনুমোদিত সুপারএন্যুয়েশন ফান্ড এবং শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ছাড়া অন্যান্য ফান্ডের ক্ষেত্রে

* ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে হলে
* ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে হলে
* মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তর, কমিশন বা ফি প্রাপ্তি

* সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় সমিতি বা ক্লাব গঠন ও সদস্য হলে
* ডাক্তার, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি ইত্যাদি পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য হলে

* পরামর্শক, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং, জনবল বা নিরাপত্তা সেবা দিয়ে অর্থ গ্রহণ করলে
* বিবাহ নিবন্ধক বা কাজী হিসেবে লাইসেন্স পেতে চাইলে
* আমদানি-রফতানির সনদ, আমদানির এলসি খুলতে চাইলে
* কোম্পানি পরিচালক বা শেয়ার হোল্ডার পদ পেতে
* ব্যবসা বাণিজ্য বা বণিজ সমিতির সদস্যপদ নিতে চাইলে

* বীমা বা সার্ভেয়ার হিসাবে নিবন্ধন নিতে চাইলে
* অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়ার ক্ষেত্রে
* ওষুধ ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স করাতে
* পরিবেশ ছাড়পত্র বা বিএসটিআই ছাড়পত্র পেতে

* লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলার বা কার্গো ইত্যাদির সার্ভে সার্টিফিকেটের জন্য
* ইটভাটার অনুমোদন নিতে হলে বা পরিবহণ ব্যবসা করলে
* কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর বা এজেন্টশিপ চাইলে
* পণ্য সরবরাহের ঠিকাদারি কাজে টেন্ডার জমা দিলে

* এনজিও বা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার জন্য বিদেশি অনুদানের ক্ষেত্রে
* স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্স্ট্রিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন ও লাইসেন্স নিতে চাইলে বা বহাল রাখতে

* সমবায় সমিতি, ট্রাস্ট বা এনজিও ব্যাংক হিসাব খুলতে
* সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমি, ভবন এবং অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বা লিজ রেজিস্ট্রেশন
* পৌরসভা এলাকায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের জমি বিক্রয়, হস্তান্তর

* সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া বা লিজ নেয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের
* কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ এবং সেবা প্রদান করতে হলে সরবরাহকারীর।
সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877