মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
তারেক-জেবায়দার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণকালে আজও হট্টগোল

তারেক-জেবায়দার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণকালে আজও হট্টগোল

স্বদেশ ডেস্ক:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় উত্তেজনার মধ্যে আজ বুধবারও সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। মামলাটিতে ঢাকার জেলা প্রসাশক কার্যায়ের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম সাক্ষ্য দেন।

আজ বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এ সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে আজ দুপুর আড়াইটা থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে মামলার বিচার বন্ধের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। আর আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষের ভেতরে অবস্থান নিয়ে মামলার চলার পক্ষে স্লোগান দেন। বিকেল ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তখন আদালত কক্ষের দরজার সামনে দুইপক্ষের আইনজীবীর মধ্যে ধাক্কাধাকির ঘটনা ঘটে।

এ সময় আওয়ামী লীগ দলীয় আইনজীবীরা আদালত কক্ষের ভেতরে এবং দরজায় অবস্থান নেন। আর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিচার বন্ধের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই অবস্থায় বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং আদালতের পরিবেশ শান্ত করে বিচারকার্য পরিচালনায় সবাইকে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে দুইপক্ষই আদালত কক্ষের বাইরে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই অবস্থায়ই বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে সাক্ষ্য শেষ হয়।

এর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আদালত কক্ষের ভেতরেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যার কারণে বিচারক সাক্ষ্য মুলতবি রেখে এজলাস ছাড়তে বাধ্য হন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এজলাস কক্ষে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল চলে। হট্টগোলের মধ্যে হাতাহাতিও ঘটে।

মামলায় গত ২১ মে একই আদালত মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হুদার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।

চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

চিকিৎসক জোবাইদা বর্তমানে স্বামী তারেকের সঙ্গে ১৩ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। জোবায়দার বিরুদ্ধে দদুক মামলাটি করেছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০০৮ সালে এর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এখন সেই বাধা কাটল।

নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবায়দা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে জোবায়দাকে বরখাস্ত করে সরকার।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877