শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের পর বাড়ি ফিরেই মারধরের শিকার বিএনপিকর্মী মেয়ের জন্য বিশেষ আয়োজন পরীর মাস্টার্সেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য নৈরাজ্য করলে ডাবল শিক্ষা পাবে বিএনপি, আমরা বসে নেই: ওবায়দুল কাদের জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে উত্তাল ইউক্রেন ‘শয়তানের নিঃশ্বাস‘ নামের যে ড্রাগ প্রতারণায় ব্যবহার হচ্ছে দস্যুর দখলে লক্ষ্মীপুরের দ্বীপ চর মেঘা, বিপাকে দেড়শতাধিক কৃষক নিজ বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট আসিম জাওয়াদ মালদ্বীপ থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করেছে ভারত বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত মিল আগে যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন
জাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মোবাইলফোন বন্ধ

জাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মোবাইলফোন বন্ধ

স্বদেশ ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষক ও দুই ছাত্রনেতার মোবাইল ফোনকল ও মেসেজিং বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রাতে সাংবাদিকদের কাছে মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন, সাবেক ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, আন্দোলনকারী অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক তারেক রেজা প্রমুখ।

এ বিষয়ে মোবাইলসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে মানুষের যোগাযোগকে রুদ্ধ করাটা অন্যায়। এটা রাষ্ট্র তখন করতে পারে যদি রাষ্ট্রবিরোধী কিছু করা হয়। কিন্তু যারা একটা অনিয়মের তদন্ত চাচ্ছে তাদের প্রতি এই ধরনের আচরণ সভ্য দেশে কাম্য হতে পারে না।

এ দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে ক্যাম্পাস ত্যাগের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও তিন ছাত্রলীগ নেতার মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম এসব কথা জানান। এ দিকে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হামজা রহমান অন্তরের রুমে তালা দেয়া ও জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রফিক জব্বার হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ফলে অন্তর ৪১ ব্যাচের র্যাগে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ নিয়ে ক্যাম্পাসে এলেও নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাতেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজ আমাকে কে বা কারা মোবাইলে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়, তা নাহলে খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘যারা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু তাদেরকেই নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু যারা বর্তমান শিক্ষার্থী নয়, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের না। আর হামজা রহমান অন্তরের বিষয়টি হলো প্রাধ্যক্ষ দেখছেন।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877