শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন যু্ক্তরাষ্ট্রের সেতু দুর্ঘটনা, বিশ্বজুড়ে প্রভাবের আশঙ্কা ৫ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা ভুল হলে শুধরে দিবেন : বিএসএমএমইউ নতুন ভিসি বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত যেকোনো দিন কাওরান বাজার স্থানান্তরের কাজ শুরু
খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচল যুক্তরাষ্ট্র

খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচল যুক্তরাষ্ট্র

স্বদেশ ডেস্ক:

কয়েক সপ্তাহের আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ঋণসীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। এর মাধ্যমে খেলাপি হওয়ার যে শঙ্কায় মার্কিন সরকার পড়েছিল, সেই শঙ্কা কেটে গেছে। বিবিসি বলছে, দুই নেতা চুক্তিতে পৌঁছালেও বিভক্ত কংগ্রেসে এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাগবে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিটিকে একটি ‘আপস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। অপরদিকে স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, ‘এতে ব্যয় সংকোচনের ঐতিহাসিক বিষয়’ রয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় হুশিয়ারি দিয়েছিল, যদি আগামী ৫ জুনের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানোর চুক্তি না করা হয়, তা হলে সরকারি ব্যয় মেটানোর অর্থ তাদের কাছে থাকবে না। ফলে সরকার খেলাপি হয়ে যাবে।

আর কোনো কথায় যদি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার খেলাপি হয়, এর বিপর্যয়কর প্রভাব পুরো বিশ্বের অর্থনীতির ওপর পড়বে। সরকারি ব্যয় মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ঋণ নিতে হয়। কারণ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ ট্যাক্স আসে, সে তুলনায় ব্যয় অনেক বেশি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা রিপাবলিকান পার্টি বলেছিল, যদি সরকার ব্যয় সংকোচন না করে, তা হলে তারা কংগ্রেসে ঋণসীমা বৃদ্ধির বিষয়টির অনুমোদন দেবে না। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যয় সংকোচনের বদলে নির্দিষ্ট কিছু খাতের ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ানো হোক। কিন্তু এটি মানেনি রিপাবলিকান পার্টি।

রিপাবলিকানরা বলছিল, শিক্ষা এবং সামাজিক যেসব কর্মকাণ্ড আছে, সেগুলোর ব্যয় কমাতে হবে। তা হলে তারা ঋণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাড়াবে।

এদিকে বাইডেন ও ম্যাকার্থির মধ্যে কী চুক্তি হয়েছে সেটির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, চুক্তি করা হয়েছে অসামরিক খাতগুলোর ব্যয় দুই বছর একই রাখা হবে এবং ২০২৫ সালে এটি ১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে স্পিকার ম্যাকার্থি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের আলোচনা শেষে আমরা একটি নীতিগত চুক্তিতে পৌঁছেছি। আমাদের এখনো অনেক কাজ করা বাকি। তবে আমি মনে করি, এটি এমন চুক্তি যেটি আমেরিকানদের ন্যায্য পাওনা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ব্যয় সংকোচনের ঐতিহাসিক বিষয় রয়েছে এতে। এটি সাধারণ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবে। সরকারের অতিরিক্ত ব্যয়ের লাগাম টানবে। নতুন কোনো ট্যাক্স নেই, নতুন কোনো সরকারি কার্যক্রম নেই। এই আইনে অনেক কিছু আছে।’

ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধির নতুন আইনটি রবিবারের মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে চান তিনি। এরপর এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলবেন এবং বুধবার বিলটি উত্থাপন করবেন।

অপরদিকে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘এ চুক্তিতে আপস রয়েছে। যার অর্থ সবাই যা চায় তা পায় না। এটি সরকারের দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এ চুক্তি আমেরিকানদের জন্য একটি ভালো খবরও। কারণ এর মাধ্যমে বিপর্যয়কর খেলাপি ঠেকানো গেছে। যে খেলাপি অর্থনৈতিক মন্দা, অবসরপ্রাপ্তদের বিধ্বস্ত এবং কয়েক লাখ চাকরি কেড়ে নিত।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877