বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ঢাকা মুখ্য ভূমিকা পালন করে : মস্কো

সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ঢাকা মুখ্য ভূমিকা পালন করে : মস্কো

স্বদেশ ডেস্ক:

রাশিয়ার দূতাবাস ২০০২ সালে জাতিসঙ্ঘের জিএ রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর ২৯ মে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ তার সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ সরবরাহ করা শুরু করার পর থেকে ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে।

রোববার (২৮ মে) ঢাকায় রুশ দূতাবাস বলেছে, ‘বিশ্বব্যাপী মোতায়েন করা ৭ হাজারেরও বেশি ইউনিফর্মধারী কর্মীসহ সেনাদের বৃহত্তম অবদানকারী হওয়ায়; সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আস্থা আনতে ঢাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

দূতাবাস বলেছে, শান্তিরক্ষীদের ধন্যবাদ, রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে উদ্ভূত কয়েক ডজন দেশে একাধিক সংঘাত কাটিয়ে ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকার কারণে রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে এই আন্তর্জাতিক দায়িত্ব ভাগ করে নেয়।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য ম্যান্ডেট তৈরিতে এবং আয়োজক রাষ্ট্রের সাথে গঠনমূলক ও সম্মানজনক মিথস্ক্রিয়া করার জন্য মিশন সদস্যদের প্রস্তুতিতে ব্যাপকভাবে জড়িত।

রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, ‘আমাদের দেশ জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাজেটে সবচেয়ে বড় অবদানকারী এবং মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ অফিসারদের অপারেশনে পাঠায়।’

২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৩ জন নারীসহ ৭৯ জন রুশ জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন।

দূতাবাস বলেছে, ‘আমাদের বাংলাদেশী অংশীদারদের মতোই, রাশিয়াও নারী শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়।’

বিশেষ করে, ডোমোদেডোভোতে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শান্তিরক্ষীদের জন্য অল-রাশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিদেশী আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জন্য জাতিসঙ্ঘ-প্রত্যয়িত কোর্স চালু করেছে, যার মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী রয়েছে।

রাশিয়া বলে, ‘এই বছরে আমরা তাদেরও শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে, শান্তির আদর্শের জন্য নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।’

গত বছর কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে রাশিয়ান জাতিসঙ্ঘের সামরিক পর্যবেক্ষক দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলেক্সি মিজিউরা দায়িত্ব পালনের সময় দুঃখজনকভাবে মারা যান এবং তাকে মরণোত্তর দাগ হ্যামারস্কজল্ড পদক দেয়া হবে।

রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, নিঃস্বার্থ কৃতিত্বে বাংলাদেশ তার কয়েক ডজন সাহসী ছেলেকেও হারিয়েছে এবং তাদের নাম ইতিহাসে খোদাই করা হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877