স্বদেশ ডেস্ক:
ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার দলের একের পর এক নেতা পদত্যাগ করেই যাচ্ছেন।
সবশেষ আজ শনিবার পিটিআই সাবেক এমপি সৈকত দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি গত ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তার পরবর্তী সহিংসতাকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পেশাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রতি তার দৃঢ় সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া আজ পিটিআই-এর আরেক নেতা খুসরো বখতিয়ারও দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ৯ মের ঘটনা নিয়ে পিটিআই-এর মতাদর্শ তার সঙ্গে মিলে না বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ৯ মে-এর ঘটনা তাকে পিটিআই থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
জিও নিউজ তাদের সবশেষ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ৯ মে এর পর পিটিআই থেকে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি নেতা পিটিআই ছেড়েছেন। এবং প্রতিনিয়ত সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। যদিও দুই দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তি পান এ পিটিআই প্রধান। তবে তার গ্রেপ্তার ঘিরে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৮ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যদিও ইমরান খান দাবি করেছেন, বিক্ষোভে তার দলের নিরস্ত্র ২৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ইমরানের গ্রেপ্তারের পর পিটিআই সমর্থকরা দেশটির সরকারি ভবন, স্থাপনা ও বিশেষ করে সেনাবাহিনীর স্থাপনায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এরপর থেকে তার দলের কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তবে ইমরান খান দাবি করেছেন, তার দলের নেতারা পদত্যাগ করছেন না, তাদের বাধ্য করা হচ্ছে এবং সেটি অস্ত্রের মুখে। এদিকে এরই মধ্যে ইমরান খান এবং দলীয় অনেক নেতা ও আইনপ্রণেতার ওপর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।