শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের দলে যাদের রাখলেন ওয়াকার দীর্ঘ বিরতি শেষে বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
বিএনপির পাঁচ সাংসদের লোভ ছিল বেশি: গয়েশ্বর

বিএনপির পাঁচ সাংসদের লোভ ছিল বেশি: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাঁর দলের পাঁচ সাংসদদের শপথ নেওয়ার পেছনে সরকারের যতটা না চাপ ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল তাঁদের (পাঁচজনের) লোভ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল সংসদে যাব না। কিন্তু সংসদে গেলাম। এখানেই তো বুঝতে হবে, আমাদের প্রতিশ্রুতির অভাব আছে। আমরা অবাধ্যকে বাধ্য করতে পারি না। কারণ, ওই পাঁচজনের দলের প্রতি, রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকার নেই। এই পাঁচজন অবাধ্যকে যদি আমরা বাধ্য করতে পারতাম, তাহলে আজকে আমাদের দুঃখ থাকত না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আপনাদের বুঝতে হবে। এখন এই পাঁচজন যদি দল ছেড়ে চলে যেতো! তাঁরা যেতই। সেই কারণে আপনাকে প্রেক্ষাপটটা বুঝতে হবে। এঁদের লোভ আছে, এঁদের ওপর চাপ আছে। তবে চাপের চেয়ে লোভ বেশি। এঁরা একটা দিনের জন্য বলেছে যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে সংসদে যাব না? এই পাঁচজনের কেউ বলেছেন? এক দিন? কেউ বলছেন? বলেন নাই। তাহলে তাঁদের সংসদে যাওয়াটা জরুরি। বেগম জিয়ার মুক্তিটা কিন্তু জরুরি না।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা বেশি কাজে ফাঁকি দিই। আমরা কমিটি করি। কিন্তু কেউ সংগঠন করি না। একটি কমিটি মানেই সংগঠন না। আর নেতৃত্বের যেখানে দুর্বলতা হয়, সেখানে বহুজনের কমিটি হয়। কমিটিতে যখন যুগ্ম আহ্বায়কের সংখ্যা বেশি, সদস্যসচিব থাকে, তখনই বুঝতে হবে, কেউ কাউকে মানে না। তার মানে অঙ্গীকারের অভাব। সংগঠনের চেয়ে নিজেকে সবাই বড় মাপের দেখতে চায়।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমানকে কি আমরা অনুসরণ করেছি? তাঁকে যদি আমরা অনুসরণ করি, তাহলে আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে না। আমরা গাড়ি-বাড়ির মালিক হতে পারি না। কারণ, ওনার রাজনৈতিক জীবনে গাড়ি-বাড়ি ও বিত্তশালী হওয়ার কোনো অনুপ্রেরণা ছিল না। ওনার রাজনীতি ছিল দেশপ্রেম ও দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যাঁরা উপদেশ দেন, তাঁরা নিজের বেলায় সেটা কতটুকু বাস্তবায়ন করেন, তা একটু ভেবে দেখবেন। আর দলের উপদেষ্টা-সম্পাদক বেশি, কর্ম-সম্পাদকটা একটু কম। বলা হয়, ঘরে বসে মিটিং করব না। কিন্তু ঘরেই ডাকা হয়। আর আজকে ঘরে না ডেকে যদি বাইরে ডাকা হতো, তাহলে খুব বেশি ভালো লাগত।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, সেলিম ভূঁইয়া ও ২০-দলীয় জোট নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877