স্বদেশ ডেস্ক:
রংপুরে এরশাদের শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ সোমবার। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ। তবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশঙ্কা, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের মাধ্যমে আসনটি আজ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থিতা বহাল রাখার দাবিতে গতকাল রবিবারও তারা সোচ্চার ছিলেন।
এ ছাড়া অন্যদলের কোনো প্রার্থী কিংবা নেতাকর্মীদের এখনো মাঠে দেখা যায়নি। নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আলোচনা নেই ভোটারদের মাঝেও। এদিকে সাদ এরশাদ মঙ্গলবার রংপুরে এসে প্রচারে অংশ নেবেন বলে আমাদের সময়কে জানিয়েছেন।
সাদ এরশাদ বলেন, ‘স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করব। আমাদের দলে কোনো বিভেদ নেই।’ মহানগর জাপা সভাপতি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও মনোনয়নবঞ্চিত মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আহমেদ এ নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখবেন না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাদ বলেন, ‘তাদের এমন ঘোষণায় জাতীয় পার্টির বিজয়ে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। তবে আমি তাদের দুজনের সঙ্গে কথা বলব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ আসনে (রংপুর-৩) আমার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ দীর্ঘদিন এমপি ছিলেন। জাতীয় পার্টির জন্য রংপুর সদর আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আওয়ামী লীগ এ আসনটি আমাদেরকে ছেড়ে দেবে।’
এদিকে দীর্ঘ বছর পর নৌকা প্রাতীকে প্রার্থী দেওয়ায় আসনটি দখলে নিতে মরিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুকে প্রত্যাহার না করার দাবিতে রবিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো রংপুরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে খোলা চিঠি। তবে জাপার হাইকমান্ড জোটগত নির্বাচন চাইলেও স্থানীয় অনেক নেতার এ নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। দলটির অভ্যন্তরীণ এ কোন্দলকে কাজে লাগিয়েই বিজয় ছিনিয়ে আনতে চায় আওয়ামী লীগ।
গত ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপিসহ মোট সাত প্রার্থী লড়ছেন। রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ নারী ভোটার।