সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বিশ্ববাসীকে খুঁজতে হবে

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বিশ্ববাসীকে খুঁজতে হবে

দুই বছর পার হলো মাত্র রোহিঙ্গা সমস্যার। প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন থেকে সমূলে উৎখাত হয়ে ২০১৭ সালের আগস্টের শেষদিকে আশ্রয় নিয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদারতা ও সহমর্মিতা তাকে বিশ্বে অনেক সম্মানের আসনে বসিয়েছিল। এমনকি তাকে ‘মানবতার মাতা’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছিল। তার একক প্রচেষ্টায় এ সংকট সমাধানের পথ খুঁজতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এগিয়ে আসে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। যদিও এখন অনেকটা কমে আসছে। মূলত রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণের ৭৫ শতাংশ এখন বাংলাদেশই বহন করছে বলে সরকারিভাবে বলা হচ্ছে। আজ দুই বছরের মাথায় এসে রোহিঙ্গা সংকটের নানা ধরনের ডালপালা গজাচ্ছে, যার অনুমান এ দেশের অনেক বিশ্লেষক করেছিলেন।

প্রথমদিকে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন এই বর্বরোচিত আচরণে পরিকল্পিতভাবে উচ্ছেদের পরও আশা করেছিল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে, তখন অনেক বিশ্লেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আমরা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট করেছি। হয়তো মিয়ানমার রাষ্ট্রের গঠন এবং চরিত্র সম্বন্ধে আমাদের যথেষ্ট অজ্ঞতা ছিল এবং দৃশ্যত এখনো রয়েছে বলে মনে করি। মিয়ানমার অত্যন্ত কঠিন একটি দেশ এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এ ধরনের হত্যাযজ্ঞে সিদ্ধহস্ত। তার প্রমাণ কারেন, কাচিন, শান এবং অন্যদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, যার কারণে বর্তমান সশস্ত্র বাহিনীপ্রধান হিলাং জাতিসংঘে মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের কারণে উল্লিখিত ছিলেন এবং এই একই ব্যক্তি রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত।

রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হঠাৎ করে শুরু হয়নি। মিয়ানমার (তৎকালীন বার্মা) স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে তৎকালীন আরাকান (এখনকার রাখাইন) বৌদ্ধ সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের সংঘাত ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কালাদান নদীর উত্তরে চলে আসে। উত্তরের তিনটি জেলাÑ মংডু, বুথিডং ও রথিডংয়ের বেশিরভাগে রোহিঙ্গাদের নিবাস ছিল। এ তিন অঞ্চলেই রোহিঙ্গারা প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল।

বৌদ্ধ রাখাইনদের আক্রমণ এবং উত্তর আরাকানকে আলাদা করার অথবা নিদেনপক্ষে স্বায়ত্তশাসন কায়েম করার উদ্দেশ্যেই ১৯৪৭-৬১ সাল পর্যন্ত ‘মুজাহিদিন’রা অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত ছিল তৎকালীন বার্মার অন্যান্য উপজাতীয়দের মতো। মুজাহিদিনদের দাবিই ছিল উত্তর আরাকান বা রাখাইনকেন্দ্রিক। ১৯৬১ সালে তৎকালীন উনু সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুজাহিদিনদের শান্তি আলোচনা হয়। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মসমর্পণ করে রোহিঙ্গা মুজাহিদিনরা। এরই প্রেক্ষাপটে মে, ১৯৬১ সালে উনু সরকার উত্তর আরাকানে (রাখাইন) মংডু, বুথিডং ও রথিডংয়ের পশ্চিমাংশ নিয়ে মাইয়ু-ফ্রন্টিয়ার ডিস্ট্রিক্ট গঠনের ঘোষণা দেয়। ওই সময় উনু আরাকান স্টেট তৈরির ঘোষণার সঙ্গে অনেকখানি স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থাও করেছিলেন। উনু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউবা (টইধ) নয়, উপসেনাপ্রধান জুলাই ৪, ১৯৬১ সালে মংডুতে রোহিঙ্গা সমাবেশে অন্যান্য উপজাতির সঙ্গে রোহিঙ্গা অধিকারের বিষয়ও উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মাইয়ু-ফ্রন্টিয়ার ডিস্ট্রিক্ট বাতিল হয় এবং রোহিঙ্গাদের উপজাতি গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া রদ হয়।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা সামরিক সরকার গঠনের পর থেকেই শুরু হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদের প্রক্রিয়াও হয়েছিল। ১৯৭৮, ১৯৯২ সালে দুই দফা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে হয়েছিল বাংলাদেশে, সে বিষয় এখন ইতিহাস। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কিছু সমাধান হলেও ১৯৯২-৯৩ সালে সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়া হয়নি।

ওপরের প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটে আমাদের জড়িয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা নতুন নয়। তবে নতুন বিষয় যে এবারের সংকট প্রথম থেকেই দ্বিপক্ষীয় থাকেনি। কারণ এবারের মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এবং তথাকথিত বেসামরিক গণতান্ত্রিক সরকার একযোগে ২০১২ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের ভিটেবাড়ি থেকে উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল। কোনো রাখঢাক নয়, প্রকাশ্যে রোহিঙ্গাদের, বাঙালি আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিত নির্যাতন চলে। নিষিদ্ধ করা হয় চলাফেরা, এমনকি এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় চলাচল। অবশেষে শেষ অভিযান আরসা (অজঝঅ) নামক কথিত রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর আক্রমণের প্রেক্ষাপটে। যেভাবে রোহিঙ্গাদের উৎখাত করা হয়েছে তার বিপরীতে একই সামরিক ও বেসামরিক জান্তা সেই মানুষগুলোকে সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে নেবে, এমন ভাবাটাও একেবারে অযৌক্তিক। এরই প্রতিফলন আমরা দেখছি আগস্ট ২২, ২০১৯ তারিখে।

মিয়ানমারের অবস্থান এমন শক্ত কিসের জোরে যে বিষয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, চীন, ভারত, রাশিয়া ও জাপান যাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো তাদের প্রত্যেকেই মিয়ানমারকে শক্তভাবে সমর্থন করায় পশ্চিমা বিশ্ব তথা জাতিসংঘের তোড়জোড়ে মোটেই বিচলিত নয়। আমাদের দুই নিকটতম প্রতিবেশী ভারত ও চীন কার্যত মিয়ানমারের পক্ষেই রয়েছে। মাত্র মাসখানেক আগে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর মনে করা হয়েছিল, চীন হয়তো বেশ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কিন্তু তেমনটা দেখা যায়নি। আগস্ট ২২, ২০১৯ যখন বাংলাদেশ ৩ হাজার ৫৪০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল সেখানে চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতি চীনের সহযোগিতার কিছু বার্তা দিলেও মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে তেমন মনে হয়নি। চীনের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল তাং হিলাংয়ের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন বিষয়ে যতই চাপ আসুক, চীন পাশে থাকবে। এ বক্তব্যই পরিষ্কার করে চীনের অবস্থান।

বাস্তবিক চিত্র হচ্ছে, চীনের বিআরআই (ইজও) প্রকল্পের এশিয়ায় অন্যতম খুঁটি মিয়ানমার। চীনের কথিত সামুদ্রিক সিল্করুটের গন্তব্যে শেষ হয় দক্ষিণ রাখাইনের বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মিলনস্থলে। এখান থেকে চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডরের শুরু। ওই অঞ্চলে গভীর সমুদ্রবন্দর শেষের পথে এবং তেল-গ্যাস পাইপলাইন কার্যকর করা হয়েছে। রেললাইনের প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ার পথে।

মিয়ানমারে চীনের অন্যান্য অর্থনৈতিক উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম আরেকটি উদ্যোগ মাইটসন (গুরঃংড়হ) হাইড্রো-ইলেকট্রিক বাঁধ। এ বাঁধটি তৈরি হওয়ার কথা ইরাবতি নদীর পানির উৎস মালি ও ন’মাই নদীর সংযোগস্থলে। প্রকল্পটির আনুমানিক খরচ ২০১৭ সালে ধরা হয়েছিল ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু ওই সময় স্থানীয় মানুষের চাপে বাতিল করা হয়েছিল। তথ্যে প্রকাশ, এখন (২০১৯) চীন মিয়ানমারকে প্রায় রাজি করিয়েছে এবং খরচ বর্ধিত তয়ে প্রায় সাড়ে চার বিলিয়নে দাঁড়াবে, যার মধ্যে স্থানীয়দের কমপেনসেশন দেওয়ার কথা। তথ্যে প্রকাশ, মিয়ানমার সরকার এখন অনেকটাই সম্মত। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যার ৯০ শতাংশ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন হবে। এ অঞ্চলে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে, যে কারণে চীন এ প্রকল্পের জন্য মরিয়া হয়ে রয়েছে।

ওপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চীন মিয়ানমারের শক্ত সমর্থক থাকবে তা প্রায় সর্বজনবিদিত। সে ক্ষেত্রে চীন আমাদের জন্য মিয়ানমারের ওপর কতখানি চাপ রাখতে পারবে, তা অনুমেয়। আগস্ট ২১, ২০১৯-এ যে নাটক হয়েছে, তা ছিল মিয়ানমারের কূটচাল। এর প্রধান দুটি কারণ প্রথমত, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অবশ্য বাংলাদেশ এ প্রসঙ্গ তুলবে এবং হয়তো সর্বসম্মত অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠক্রমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রস্তাব পাস হওয়ার সম্ভাবনা, যার প্রেক্ষাপটে পুনরায় নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান হতে পারে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌশলীদের অনুসন্ধান ও সম্ভাব্য মামলা এবং ২০২০ সালে মিয়ানমারের নির্বাচন যেখানে সামরিক বাহিনী প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী দিতে পারে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এই নাটক, এমনটাই মনে করা স্বাভাবিক।

দৃশ্যপটে মনে হচ্ছে, প্রচ- চাপের মাধ্যমে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের মৌলিক দাবিগুলোতে মানাতে না পারলে এ সংকটের সমাধান হবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আরও চাপ প্রয়োগ করা ছাড়া বিকল্প নেই। একই সঙ্গে যে দাবিটি উঠতে পারে সেটি হলো রোহিঙ্গাদের গোত্র পরিচয়ে নাগরিকত্ব, যা তাদের একসময় ছিল, ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ১৯৬১ সালের ‘মাইয়ু-ফ্রান্টয়ার ডিস্ট্রিক্ট’-এর মতো ওই তিন জেলা নিয়ে, দি ওয়া (ঞযব ধি) পালাং (চধ-খধঁহম), দানো (ফধহঁ) পাও (চধ-ড়), কোকাংয়ের (কড়শধহ) অঞ্চল তৈরি করে সীমিত স্বায়ত্তশাসন প্রদান। এ অধিকার পেতে হলে রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা হিসেবে নাগরিকত্ব থাকতে হবে। এ কারণেই অত্যন্ত সুচারুরূপে ১৯৮২ সালে নাগরিক ও গোত্র হিসাবের জন্য ১৮২৩-কে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গার দাবির সঙ্গে সহমত হলেও বলতে হয় যে, এ দাবি নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা নেতাদেরও সোচ্চার হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গা নেতাদের কথাও শুনতে পারে। বাংলাদেশ মানবেতর পক্ষ নিয়ে আশ্রয় দিয়ে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা অপূরণীয়। যে পাহাড় ধ্বংস হয় তা আর গজিয়ে উঠবে না। যে পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে, তা ফিরে পাওয়ার নয়। যে রোহিঙ্গা সমাবেশ নিয়ে আমাদের এত আলোচনা সেটা যে বিনা অনুমতি এবং হঠাৎ হয়েছে তেমন মনে করার কতখানি কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা উচিত। ওই সমাবেশ থেকে রোহিঙ্গারা যে পাঁচটি দাবি উঠিয়েছে তার মধ্যে প্রধান হলো নাগরিকত্ব বিষয়। তার গ্যারান্টি না পেলে তারা ফেরত যাবে বলে মনে হয় না এবং তারা ফিরলে কোথায় যাবে তার নিশ্চয়তাও নেই। কারণ যে শহরে এবং যেসব গ্রামে রোহিঙ্গাদের শত শত বছর বাসস্থান ছিল, সেগুলোর কোনো চিহ্নও নেই, এমনকি গাছপালাও নেই। সেখানে মিয়ানমার সরকারের পুলিশ ব্যারাকসহ অনেক পাকা সরকারি দালানকোঠা তৈরি হয়েছে। তারই ধারেকাছে ফিরতি রোহিঙ্গাদের জন্য তারকাঁটার ঘেরা দেওয়া ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এসবই মানবতাবিরোধী কর্মকা- (বিবিসি, জনাথন হেডের বিস্তারিত রিপোর্ট, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯)।

এসব বিষয় বাংলাদেশের যেমন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে, তেমনি রোহিঙ্গা নেতানেত্রী যারা বিদেশে রয়েছেন, তাদের সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষে যা করা হয়েছে বিশ্বের কোথাও এ ধরনের উচ্ছেদিত জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো দেশ বা সরকার করেনি। একটি জাতিগত নিধন বিশ্ববাসী শুধু মৌখিক সহায়তার বাণী শুনিয়ে দায়িত্ব এড়াতে পারে না, বরং সব ধরনের চাপ প্রয়োগের রাস্তা প্রয়োজনে প্রয়োগ করতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশেরই নয়। তৈরি করেছে মিয়ানমার, এর প্রতিকারও মিয়ানমারকে করতে হবে। দায়িত্ব রয়েছে বিশ্বের বড় দেশগুলোর। শুধু মুখের বাণী নয়, এ সমস্যার যৌক্তিক সমাধানে বিশ্ববাসী ব্যর্থ হলে আরেক ‘ফিলিস্তিনের’ জন্ম নেবে পূর্ব প্রান্তে।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন : সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং কলাম লেখক

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877