প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে চারদিনের সরকারি সফর শেষে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪তম সম্মেলনে যোগ দিতে আজ সকালে সৌদি আরবের উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৫১২) যোগে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন।
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাবা ফাতিমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে জেদ্দার বাদশাহ্ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে মক্কা যাবেন।
সন্ধ্যায় তিনি মক্কাস্থ সাফা প্রাসাদে ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সৌদি আরব ওআইসি’র এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ। পবিত্র মক্কা নগরীতে ৩১ মে ও ১ জুন ওআইসি’র ১৪তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ১ জুন মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।
নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মুবারক (কবর) জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠের উদ্দেশে ২ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা থেকে বিমানযোগে মদীনার পথে রওয়ানা হবেন। সন্ধ্যায় তিনি বিমানযোগে মদীনা থেকে জেদ্দায় চলে যাবেন।
৩ জুন প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির উদ্দেশে রাত ১টা ১০মিনিটে (সৌদি আরব সময়) জেদ্দা ত্যাগ করবেন।
তিনি, ওইদিন বেলা ১টায় (ফিনল্যান্ড সময়) হেলসিঙ্কি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপান অবস্থানকালে দু’দেশের মধ্যে আড়াই বিলিয়ন ডলারের (চার প্রকল্পের জন্য) একটি সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী টোকিওতে ২৫তম নিক্কেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন। এছাড়া তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশে ২৮ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার প্রথম গন্তব্য ছিলো জাপান। পরের গন্তব্য সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড। ১২ দিনের সফর শেষে আগামী ৮ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।