শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন

৯০টি ইলিশ ১২৫ টাকা

স্বদেশ ডেস্ক:

১২৫ টাকায় আধা কেজি ইলিশের পোনা কিনলেন এক ব্যক্তি। গুনে দেখা গেল ওই আধা কেজিতে ৯০টি ছোট ইলিশ মাছ পেয়েছেন তিনি। এই মাছগুলো তুলনা মূলক বড়। তাই কেজিতে বিক্রি করছেন। ওই বিক্রেতার কাছে এর চেয়ে আরো ছোট ছোট এক ঝুড়ি মাছ। সেগুলো ভাগ দিয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে প্রতি ভাগ বিক্রি করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বটতলা বাজারে ঘটনাটি দেখা যায়।
এভাবেই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ইলিশের পোনা
বিক্রি হচ্ছে।

ইন্দুরকানীতে অবৈধ জালে ইলিশের পোনা নিধনের মহোৎসব চলছে। উপজেলার কচা ও বলেশ্বের নদের বিভিন্ন স্থানে দেড় শতাধিক বাদা জালে (বেহুন্দী জাল) ইলিশের পোনা ধরা হচ্ছে। আর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতিদিন এসব পোনা ইলিশ প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা মাসের পর মাস এভাবে ছোট ইলিশ, পোমা ও তাপসী মাছের পোনা ধরছে। কেউ আবার নদীর বিভিন্ন চরে নেটের টানা জাল বেয়ে ভাটা ফাইস্যার পোনা ধরার সময় বিভিন্ন রকমের মাছের ডিম ও রেনু নষ্ট করছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কচা নদীর লাহুরী, টেংরাখালী, কালাইয়া, চন্ডিপুর, খোলপটুয়া এবং বলেশ্বর নদের উত্তর কলারণ সংলগ্ন নদীতে সারি সানি বাদা জাল পেতে জেলেরা মাছ ধরছে। সবচেয়ে বেশি পোনা ইলিশ ধিন হচ্ছে চন্ডিপুর ইউনিয়নের বাশগাড়ি এবং সন্যাসী ফেরীঘাটের উত্তরে ছৈলার চর সংলগ্ন নদীতে।

মূলত চিংড়ি মাছ ধরার জন্য এ জাল পাতা হলেও স্রোতের টানে বিশালাকার প্রতিটি জালে লাখ লাখ পোমা, তাপসী ও ইলিশের পোনা ধরা পড়ে। জেলেরা প্রতি ঝুড়ি মাছ (সংখ্যায় কয়েক লাখ) পাইকারদের কাছে আট শ’ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি করে। পাইকাররা ঝুড়ি ভর্তি মাছ বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে প্রকাশ্যে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে ভাগ দিয়ে বিক্রি করে। প্রতি ভাগে দুই শ’ থেকে তিন শ’ ইলিশের পোনাসহ অনেকগুলো পোমা ও তাপস্যীর বাচ্চা থাকে। এমনকি উপজেলা সদরের ইন্দুরকানী বাজারেও প্রকাশ্যে এ মাছ বিক্রি হয়।

বৃহস্পতিবার উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বটতলা, বালিপাড়া, চন্ডিপুর ও বলেশ্বর বাজারে ইলিশের পোনা বিক্রি করতে দেখা গেছে।
উপজেলা মৎস্য দফতর থেকে মাঝে মাঝে স্থানীয় নদ নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও জেলেরা আগেই অভিযানের খবর পেয়ে যাওয়ায় অনেক অভিযান সফল হয় না।

ইন্দুরকানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমি গতকালও অভিযান পরিচালনা করেছি। দু’টি বাধা জাল ধরতে পেরেছি। সন্যাসী সংলগ্ন নদীতে আরো প্রায় ৪০টি জাল পাতা ছিল। জেলেরা আমাদের দেখে পালিয়েছে। একই নদীর ভান্ডারিয়া অংশেও অনেক জাল পাতে। সে অংশতো আমদের ভেতরে না।’

এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছা খানমকে অবহিত করলে তিনি বলেন ‘আমি বিষয়টি দেখতাছি। আগামী দিন ফিসারিজ অফিসারকে পাঠাবো।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877