স্বদেশ ডেস্ক:
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকেই পাবনা অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার ঈশ্বরদী উপজেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত সোমবার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি ছিল উপজেলায় স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই এ অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র দাবদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে মানুষজন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। ইতোমধ্যে বৃষ্টির জন্য পাবনায় সালাতুল ইস্তেসকার আদায়সহ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
পাবনা সদরের জোয়ারদহ গ্রামের মিজান খান বলেন, ‘এ বছর অতিরিক্ত গরম পড়ছে। এত তাপ সহ্য করা কঠিন। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না।’
পাবনা সদর উপজেলার চকউগ্রগড় গ্রামের গ্রামের ভ্যানচালক বক্কার হোসেন বলেন, ‘মাথার ওপর প্রচণ্ড রোদ, চারিদিকে যেন খাঁ খাঁ করছে। এর মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে। সামনে ঈদ, সংসার চালানোর পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটা করতে হবে। তাই রোদে পুড়েই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।’