স্বদেশ ডেস্ক:
আজ অর্নিশা নৈরিতার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বাবাই। সবাই শুভেচ্ছা জানাবে। কেক কাটা হবে। হবে প্রীতিভোজ। গাওয়া হবে পৃথিবীতে সর্বাধিক বার গাওয়া গান Happy Birthday to you ইত্যাদি। বহুযুগ ধরে চলে আসছে জন্মদিন পালনের এমনই রীতি-নীতি। নিয়ম-নীতি, অনুষ্ঠানের ধরন যা-ই হোক না কেন, বছরের নির্দিষ্ট দিনে শিশুর জন্ম উপলক্ষে যে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়, তার মূল্য শিশুর
জীবনে এবং আমাদের সামাজিক জীবনে একেবারে কম নয়। আবেগ প্রবণতা মানবীয় গুণাবলির একটি বিশেষ অংশ। নিজের সন্তানের প্রতি এই আবেগের কোনো সীমা নেই। যেমনটা নেই মা-বাবার ভালোবাসার কোনো পরিসীমা। এই ভালোবাসা আর আবেগের একটি প্রকাশ হলো সন্তানের জন্মদিন পালন। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের কাছে শিশুর গুরুত্ব বোঝায় এই অনুষ্ঠান। শিশু পুলকিত হয়, বুঝতে পারে বাবা-মা ও অন্যরা তাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। এতে মন ও আত্মার বন্ধন দৃঢ় হয়। বর্তমান সময়ে এই বন্ধন খুব জরুরি।
সামাজিক সমাবেশ হয়; বন্ধুরা আসে। হয় পরিচিতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। অপরিচিতদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সামাজিকতা শিক্ষার এমন সুযোগ অনেকেই কাজে লাগাতে চায়। কারণ শিশু আচার-আচরণ, ব্যবহার শেখার সুযোগ পায় এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎফুল্ল পরিবেশে শিশুর মানসিক প্রশান্তি হয়, যা মানসিক বৃদ্ধির জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ। ব্যস্ত জীবনে একটুখানি ভিন্নমাত্রা যোগ করতে অনেকেই এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না।
বছরের বেশিরভাগ সময় শিশুরা মহাব্যস্ত থাকে স্কুল ও নানাবিধ অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে। নিরন্তর এই ছোটাছুটির মাঝে দরকার কিছু আনন্দময় সময়, যা শিশুকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তৈরি করে দিতে পারে। এমন অনুষ্ঠান উদযাপনের অন্যতম প্রধান কারণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও আশীর্বাদ প্রার্থনা। একদিকে বাবা-মা আমন্ত্রিত অতিথিদের নিকট সন্তানের জন্য আশীর্বাদ কামনা করেন। অন্যদিকে অতিথিরাও শিশুর সঙ্গে পরিচিত হন এবং শুভ কামনা করেন। দীর্ঘজীবী হও, মানুষের মতো মানুষ হও সোনামণি।