মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু, যা বলছে প্রধান দুই দল ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সহকারী কমিশনার বদলি বিএসএফের পোশাকে সীমান্তে মাদকের কারবার করতেন রেন্টু কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ ভারতে চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মিরে কেমন ভোট হলো বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা উচিত : মির্জা ফখরুল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা বেআইনি : হাইকোর্ট আমার পুরো ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল : মনোজ মানবদেহে প্রথম ব্রেইনচিপ ইমপ্লান্টে ধাক্কা খেলো নিউরালিংক ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়

ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়

স্বদেশ ডেস্ক:

ডিম এখন আর সাশ্রয়ী মানের প্রোটিনের উৎস নয়। কারণ ঢাকার বাজারে প্রতি ডজনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকায়।

ভোক্তা অধিকার গ্রুপ বলছে, অস্বাভাবিকভাবে উচ্চমূল্যের কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো ইতোমধ্যেই মুরগি ও গরুর গোশতের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে।

এখন ডিম প্রতি পিস ১৩ টাকার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। তারা পুরোপুরি প্রোটিনের কোনো মানের উৎস কিনতে সক্ষম হবে না। রাস্তার বিক্রেতারা সেদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন প্রতি পিস ২০ টাকায়। ঢাকার রেস্তোরাঁয় একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের রেকর্ড মূল্যের মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।

তিনি বলেন, খামারে উৎপাদিত ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং চাষকৃত মাছ ঐতিহ্যগতভাবে দেশের লাখ লাখ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।

তিনি কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটে ডিম, মুরগি, মাংস ও মাছের দামের ওপর কঠোর নজরদারির ওপর জোর দেন যাতে সব ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে এসব জিনিস পায়।

ডিমের দাম জানুয়ারির বিপরীতে প্রতি ডজনে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে, যা নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠী এবং সীমিত আয়ের লোকদের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

গতকাল রোববার ঢাকায় কিচেন মার্কেট পরিদর্শন করে দেখা যায়, আকার ও মানের ওপর নির্ভর করে খামারে উৎপাদিত এক ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। কয়েকটি সুপার শপে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

অন্যদিকে হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮০ টাকা এবং ফ্রি-রেঞ্জ (স্থানীয়) মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।

বাংলাদেশ ডিম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ডিমের চাহিদা এখনো বেশি, অথচ উৎপাদন কিছুটা কমেছে।

মহামারীতে লকডাউনের সময় অনেক খামার তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল এবং উচ্চ পরিচালন ব্যয়ের কারণে এখনো উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।

ফিডের দামের গঠনাত্মক বৃদ্ধির মধ্যে দেড় বছরে উৎপাদন খরচ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে– লোকসানের ঝুঁকির মধ্যে অনেককে ব্যবসায় নিরুৎসাহিত করেছে।

সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877