স্বদেশ ডেস্ক:
চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক জোড়া লাগাতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। দেশ দুইটির আকস্মিক এই চুক্তি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার সম্ভাব্য পথ, ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির সুযোগসহ যুক্তরাষ্ট্রকে কৌতুহলী হয়ে ওঠার অনেক উপাদানই দিচ্ছে। অনেক বিশ্লেষকেই আবার এটিকে বৈশ্বিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। খবর আল-জাজিরা, রয়টার্সের।
রয়টার্স বলছে, এই চুক্তির আরেকটি উপাদান হচ্ছে- এতে মার্কিন কর্মকর্তাদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দুই বৈরী দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বেইজিংয়ে চারদিন ধরে আলোচনা হয়। তবে তা ছিল গোপনে। এরপর গতকাল শুক্রবার দেশ দুইটির সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের এ চুক্তির ঘোষণা প্রকাশ্যে আসে।
তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি শুক্রবার বলেছেন, ওয়াশিংটন এই মধ্যস্থতায় সরাসরি জড়িত না থাকলেও ইরানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে সৌদি কর্মকর্তারা তাদের অবহিত করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে তলানিতে ঠেকেছে। বাণিজ্য থেকে শুরু করে গুপ্তচরবৃত্তিসহ নানা ইস্যুতে দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্বে প্রভাব বিস্তার নিয়েও এই দুই পরাশক্তি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
আরব গাল্ফ স্টেট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্কলার রবার্ট মোগিলনিকি আল-জাজিরাকে বলেছেন, মধ্যস্থাকারী হিসেবে এই চুক্তি প্রমাণ করে এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি ও তাদের ভূমিকা পালনের আগ্রহ বাড়ছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেফরি ফেল্টম্যান বলেন, সৌদি ও ইরানের মধ্যে ছয় বছর পর উভয় দেশে দূতাবাস খোলার চেয়ে এখানে চীনের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেছেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের গালে চপেটাঘাত ও চীনের উত্থানের প্রমাণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে। যা সম্ভবত সঠিকই হবে।