সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ব্লু টিক’ ভেরিফিকেশন কেনা যাবে

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ব্লু টিক’ ভেরিফিকেশন কেনা যাবে

স্বদেশ ডেস্ক:

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে অর্থের বিনিময়ে ‘ব্লু টিক’ ভেরিফিকেশন কেনা যাবে বলে জানিয়েছে এই দুটির মূল কোম্পানি মেটা।

ওয়েবে মেটা’র ‘ব্ল’ টিক ভেরিফিকেশনের জন্য প্রতিমাসে দিতে হবে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার, আর আইফোন ব্যবহারকারীদের দিতে হবে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার।

এ সপ্তাহে প্রথম এটি চালু করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে।

মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, মেটার এই সাবস্ক্রিপশন সেবা এখনো পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। তবে যেকোনো ব্যক্তি অর্থ দিয়ে এই ভেরিফিকেশন ব্যাজ পেতে পারেন।

যাদের খ্যাতি বা পরিচিতি আছে তাদের প্রোফাইলে ব্যাজ বা ‘ব্লু টিক’ দেয়া হয় একাউন্টটি যে আসল তা বুঝানোর জন্য।

মেটা তাদের ওয়েবসাইটে এক পোস্টে জানিয়েছে, যারা অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রাইবার হবেন, তাদের ‘ব্লু’ ব্যাজ দেয়া হবে এবং সেই সাথে তাদের পোস্ট অনেক বেশি মানুষ দেখতে পাবেন। এছাড়া কেউ যেন তাদের নামে ভুয়া একাউন্ট করতে না পারে, সেই সুরক্ষা পাবেন এবং তারা অনেক সহজে গ্রাহক সেবা পাবেন।

মেটা জানিয়েছে, আগে থেকে যেসব ভেরিফায়েড একাউন্ট আছে, তাদের ওপর এই পরিবর্তনের কোনো প্রভাব পড়বে না।

মেটা আরো বলেছে, যারা অর্থের বিনিময়ে ভেরিফায়েড একাউন্ট করেছেন, ফলোয়ার কম হলেও তাদের পোস্ট অনেক বেশি দেখা যাবে।

অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যখন অর্থের বিনিময়ে ‘ব্লু’ টিক পাওয়ার ব্যবস্থা চালু করে তখন এ নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

টুইটার এই ব্যবস্থা চালুর পর গত বছরের নভেম্বরে তা স্থগিত রেখেছিল। কারণ তখন লোকে অর্থ দিয়ে অনেক বড় বড় ব্রান্ডের নামে ভুয়া ‘ব্লু’ টিক একাউন্ট তৈরি করছিল।

মেটা বলেছে, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীর নামের সাথে সরকারের দেয়া পরিচয়পত্রের নামের অবশ্যই মিল থাকতে হবে। এছাড়া প্রোফাইল ছবি হিসেবে ব্যবহারকারীর মুখের ছবি ব্যবহার করতে হবে।

এই ব্যবস্থা কখন অন্য দেশে চালু করা হবে, তা এখনো পর্যন্ত মেটা বলেনি। তবে জাকারবার্গ এক পোস্টে বলেছেন, ‘শিগগিরই।’

মেটা কোম্পানি জানিয়েছিল, গত বছরের নভেম্বরে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দেয়। কোভিড মহামারীর সময় মাত্রাতিরিক্ত বিনিয়োগের কারণে এই ব্যবস্থা নিতে হয়।

মহামারীর সময় যে প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছিল, তার ভিত্তিতে মেটা এই বিনিয়োগ করেছিল।

মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেন, যে হারে মেটার রাজস্ব বাড়বে বলে তারা আশা করেছিলেন, সেটা ঘটেনি। এজন্য তিনি সার্বিক অর্থনীতিতে মন্দা এবং বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন ‘আমি ভুল বুঝেছিলাম এবং এর দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি।’

এর আগে টুইটারের মালিক ইলন মাস্কও গত বছরের নভেম্বরে অর্থের বিনিময়ে ‘ব্লু’ ব্যাজ পাওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন।

সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877