স্বদেশ ডেস্ক:
ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় স্মৃতি, সেই সঙ্গে বেদনা আর বিদীর্ণ শোকের রক্তঝরা দিন অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
আজ রোববার শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, সৌন্দর্য বাড়াতে শহীদ মিনারসহ আশপাশের রাস্তার দেয়ালে নতুন রঙ করা হয়েছে। ঝাড়ু ও ধোয়ামোছাসহ পরিষ্কার করার কাজ চলছে পুরোদমে। শহীদ মিনারের চারপাশের দেয়ালগুলোতেও রঙের আঁচড়ে বাহান্ন থেকে একাত্তরের গৌরবগাঁথা, উত্তাল দিনগুলোর চিত্রকর্ম আর কবি-সাহিত্যিকদের উক্তিতে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এক কথায় বলা যায় আলপনা ও বর্ণমালায় সেজে উঠছে শহীদ মিনার এলাকা। প্রতি বছরের মতো এবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দেয়ালে আলপনা ও ভাষা আন্দোলনের নানা গান, কবিতা ও স্লোগান লেখার কাজ করছেন।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিএমপি। এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২টার পর পরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।