সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ…

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ…

মো. সামসুল ইসলাম: বেশ কয়েকদিন থেকে দেখছি দেশের উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের গণমাধ্যমসমূহে ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। প্রথমে র‌্যাংকিং বিতর্ক, এরপর গবেষণার মান, ইউজিসির ক্ষমতা বাড়িয়ে উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। সেইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা, বিদেশি ক্যাম্পাসের উপস্থিতি এবং এরকম আরও অনেক বিষয়ে আমি পত্রপত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি দেখছি, আলোচনা শুনছি। উচ্চশিক্ষা নিয়ে চলমান সব বিতর্ককে যদি আমি একত্রিত করি তাহলে বলা যায় যে, এ বিতর্ক মূলত আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ (internationalization of higher education) সম্পর্কিত একটি ব্যাপার যদিও অন্তত দেশের গণমাধ্যমে উচ্চশিক্ষা বিতর্কে এটি খুবই কম বা একেবারেই অনুচ্চারিত একটি প্রসঙ্গ। উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে একটি বহুল আলোচিত প্রসঙ্গ। এটি যে শুধু দেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাজার খোলা বা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষর করা তা নয়। বিশ্বায়ন, বেসরকারিকরণ এবং নব্য উদারনৈতিক অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় স্থান, কাল, পাত্রের ধারণা সঙ্কুচিত হয়ে বিভিন্ন দেশে এক ধরনের বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে। বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা বা 21st Century Skill শিক্ষাদানের এবং শিক্ষাব্যবস্থায় বহুসংস্কৃতি বা multiculturalism কে উৎসাহিতকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে চাইছে। এর অন্যতম কারণ এখনকার শিক্ষার্থীদের বিশ্বদরবারে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চাকরি পেতে হবে। এমনকি নিজের দেশেও তাকে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। আমাদের দেশই এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আমাদের দেশে যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ বেকার তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশেই বিদেশিদের কাছে চাকরি হারাচ্ছেন। হাজার হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছেন অন্য দেশের গ্রাজুয়েটরা।
আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ বিদেশি নাগরিকের চাকরি আলোচনার নতুন কোনো বিষয় নয়। প্রায় প্রতিদিনই এটা নিয়ে নীতিনির্ধারকসহ কেউ না কেউ কথা বলছেন। আমি নিজেও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখেছি এবং চাকরি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা employability skills নিয়ে লিখেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ‘র‌্যাংকিং’, ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স’ বা ‘অ্যাক্রিডিয়েশন কমিশন’ ইত্যাদি নিয়ে অনেক কথাবার্তা হলেও এর ফলে কারিকুলাম কতটুকু প্রভাবিত বা বিশ্বমানের হবে সেই বিষয়টি পরিষ্কার নয়। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কতটুকু উন্নত হচ্ছে তা জানার জন্য আমাদের খুব বড় বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে যখন বিদেশি দক্ষ লোক আমদানির প্রয়োজন হ্রাস পাবে বা চিকিৎসার জন্য আমাদের দেশবাসীর বিদেশে যেতে হবে না তখনই আমরা বুঝব যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বমানের হয়েছে। আসলে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার কথা যদি আমরা বলতে চাই বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমাদের গ্রাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে চাই তাহলে আমাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রের সাম্প্রতিক দর্শনে ‘প্রগ্রেসিভিজম’ বা ‘রিকনস্ট্রাকশনিজম’ বিবেচনায় আনতে হবেÑযেখানে প্রাসঙ্গিক ও মানবিক শিক্ষা, বহুসংস্কৃতিবাদ বা মাল্টিকালচারালিজম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিনিময় ইত্যাদির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দুর্ভেদ্য দুর্গের মতো নিজেদের আগলে রেখেছে। বিদেশি শিক্ষক বা ছাত্রবিনিময়, দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের হার খুবই কম। বিভিন্ন সেক্টরে নামকরা পেশাজীবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রবণতাও স্বল্প। আমরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির জন্য গ্রাজুয়েট তৈরি করছি কোনোরকম আন্ত:সাংস্কৃতিক যোগাযোগের অভিজ্ঞতার প্রশিক্ষণ ছাড়াইÑএটা ভাবতেই কষ্ট হয়।
ইংরেজি ভাষা নিয়েও আমাদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে একটা দোদুল্যমানতা কাজ করছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে বিদেশিরা যারা এখানে কাজ করছেন, বিশেষত বায়িং হাউস, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে তারা মূলত ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের দক্ষতার জন্য চাকরি পাচ্ছেন। বাংলা ভাষা তো আমাদের আবেগের স্থান। বাংলা না ইংরেজি এটা নিয়ে একটা অর্থহীন বিতর্কে আমরা প্রায়শই লিপ্ত হই। আমার যতদূর মনে পড়ে একসময় ডিগ্রি পাস কোর্স হতে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে ইংরেজি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফল হয়েছিল মারাত্মক। প্রাইমারি পর্যায়ে ভালো ইংরেজি শিক্ষক পাওয়া এক সময় কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এটা সত্য যে একবিংশ শতাব্দীতে চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে তাকে বহুভাষী হতে হবে। ইউরোপের একটা শিক্ষার্থী স্কুল পেরোনোর আগেই গোটা তিনেক ভাষাশেখে। ভাষা শেখানোর পদ্ধতিটা আমাদের দেশে ঠিক নয়। সঠিক ভাবে শেখানো হলে শিক্ষার্থীরা শুধু বাংলা বা ইংরেজি নয় আরও দুয়েকটি ভাষাও শিখতে পারবে। শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে ইউজিসির কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমার কাছে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে অদ্ভুত ঠেকেছে। যেমন হলি আর্টিজানের ঘটনার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘বাংলাদেশ স্টাডিজ’-এর সঙ্গে সঙ্গে ‘ইমারজেন্স অব বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলা ভাষা’ নামে আরও দুটি কোর্স শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক করা হয়। সম্ভবত জঙ্গিবাদ ঠেকানোর জন্য এবং দেশপ্রেমিক বানানোর জন্য এ দুটো কোর্স অনার্সের কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এক বাংলাদেশ স্টাডিজই তো যথেষ্ট ছিল। আর ভাষা শিক্ষার ব্যাপার তো হায়ার সেকেন্ডারি পর্যায়েই শেষ করার কথা। কিন্তু এরকম সিদ্ধান্ত শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে বাধাস্বরূপ। যেমন বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি ছাত্রদের জন্য বড় আকর্ষণ হতে পারত। আমি জানি না, কিন্তু বিদেশিদের যদি অতি উচ্চাঙ্গের বাংলা শিখতে হয় তাহলে তো এদেশে বিদেশি ছাত্রদের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর চেয়েও বড় কথা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্তানরা যারা সেই মাত্রায় বাংলা নাও জানতে পারেন, এদেশে তাদের উচ্চশিক্ষার পথও এতে রুদ্ধ হচ্ছে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, যিনি বিদেশে ছিলেন অনেকদিন, ভাষা সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় দেশে তার সন্তানের শিক্ষা নিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। অবশেষে তার সন্তানকে ইংরেজি মিডিয়ামে ভর্তি করে ঝামেলামুক্ত হয়েছেন বলে আমাকে জানালেন।
আমরা যদি শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের কথা বলি তাহলে আমাদের বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক উচ্চশিক্ষার দর্শন বুঝতে হবে। বুঝতে হবে যে অন্তত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রবণতা হচ্ছে বহুত্ববাদ, বহুসংস্কৃতির ওপর জোর দেওয়া, বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে খুব বেশি জাতীয়াতাবাদী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিককালে দেখি পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ, প্রমোশন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি, কারিকুলাম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রচুর ছেলেমেয়ে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরেট করছেন। কেউ কেউ সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান। তারা যখন দেখেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের অদ্ভুত সব নিয়মকানুন তখন তারা ক্ষুব্ধ হন। আমাদের দেশের সঙ্গে একটা উন্নত দেশের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি মিলিয়ে দেখলেই এটা সহজে বোঝা যাবে। উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষক নিয়োগে দেখা হয় গবেষণার মান, পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরেট আমদের দেশে তখন এসএসসি, এইচএসসি বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস এসব দিয়ে প্রার্থীর যোগ্যতা নিরূপিত হয়। উন্নত দেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি জ্ঞানকে করা হয় উৎসাহিত। অর্থাৎ এক বিষয়ে অনার্স, অন্য বিষয়ে মাস্টার্স, সম্পর্কিত আরেক বিষয়ে পিএইচডি বিদেশে কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এরকম ডিগ্রিধারীরা তো আবেদনই করতে পারবেন না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে না পারলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসির অতিমাত্রায় নজরদারি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েরগুলোর উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারÑপাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অতিমাত্রায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করা, সেখানে ইউজিসি তো কোনো বাধা দিতে পারছে না। এতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষকদের ক্যারিয়ারের উন্নয়ন ঘটছে না। যতই স্বায়ত্তশাসন থাকুক অফিস টাইমে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিÑ ইউজিসির বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাষায় ‘খ্যাপ মারা’, শিক্ষকতার নীতি-নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। ৬৫টি বৎসর পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া, গবেষণা করার মতো কর্মক্ষম থাকা আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কঠিন ব্যাপার। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫ বৎসর পর্যন্ত চাকরি করে অনেক শিক্ষক আবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষপদগুলো দখল করে বসে আছেন। শিক্ষকতা অনেক কঠিন একটি পেশা যার জন্য ফিজিক্যাল ফিটনেস খুবই জরুরি। যিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না বা কথা বলতে পারেন না তাদের দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাওয়া দুরাশা মাত্র।
অনেক বিষয়ে ইউজিসি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একই বা ইউনিফর্ম সিলেবাস করে দিয়েছে, যা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে মেনে চলতে হবে। এটি হাস্যকর একটি ব্যাপার। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক ক্ষেত্রে স্পেশালইজেশন থাকতে পারে। সেটা উৎসাহিত না করে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে একই কারিকুলাম মেনে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ, তাদের ডিভিশন, ডিগ্রি, সার্টিফিকেট সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশকে রুদ্ধ করছে। ভুয়া ডিগ্রি ধরা তো কোনো ব্যাপার নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই তা পারে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজেদের বিকাশের দিকে কখন খেয়াল করবে? তারা তো ইউজিসির বিভিন্ন চিঠিপত্রের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত! ইউজিসি যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমতি দেয় তখনই তো সব কিছু দেখা উচিত। প্রাইভেট সেক্টরে রেগুলেশন থাকা জরুরি। কিন্তু জোর দিতে হবে সেলফ রেগুলেশনের ব্যাপারে। তাদের বুঝতে হবে যে হঠাৎ করেই দেশে হাজার হাজার শিক্ষাবিদ বা শিক্ষা প্রশাসক গজিয়ে উঠবেন না।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার নাড়িনক্ষত্র নিয়ে আসলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা যায়। কিন্তু স্বল্প পরিসরে তো তা লেখা সম্ভব নয়। শিক্ষা নিয়ে আরেকটা সাম্প্রতিক প্রবণতা আমি দেখছি তা হলো সবকিছু কেন্দ্রীভূত করার প্রবণতা। বিকেন্দ্রীকরণের যুগে কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থার প্রতি কেন সবার ঝোঁক তা আমি আসলে বুঝতে অক্ষম। যেমন কেন্দ্রীভূত কলেজ, ডাক্তারি ভর্তি পরীক্ষাÑ এখন শুনছি বিশ্ববিদ্যালয়েও নাকি এরকম করা হবে। এটি কোন দেশের মডেল তা আমি জানি না। তবে বিশ্বের উন্নত দেশে তো আছেই এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশেও এখন ভর্তি বা চাকরির ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট, সাবজেক্ট টেস্ট ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া হয়। আমরা শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ চাইলে আমাদের আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুনই মেনে চলতে হবে। খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে না।-(লেখক: গবেষক ও কলামনিস্ট)।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877