স্বদেশ ডেস্ক: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দুটি গ্রুপ আব্দুস সালাম হল ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিবাদমান দুটি গ্রুপ।
এসময় আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ মারাত্মকভাবে জখম হন। এ ছাড়া আহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন সুমন ও সহকারী প্রক্টর আল-আমিন শিকদার। তাদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ড. ফিরোজের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহীদ আব্দুস সালাম হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শহরে পৌঁছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সবাইকে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে সবাইকে হল থেকে মাইজদীতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকেই দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ধূমপানকে কেন্দ্র করে সিনিয়র এবং জুনিয়রের মধ্যে কথা-কটাকাটি হয়। এর জেরেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ধ্রুব গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
ওইদিন রাতের মারামারিকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে ফের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে থাকে। যা রোববার রাতে আবারও সংঘর্ষে রূপ নেয়।