বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা র‌্যাবকে অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে ‘নির্দেশ একটাই রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না’ সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে: এনসিপি স্ত্রী-মেয়েসহ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই ‘টুকরো টুকরো হওয়ার শঙ্কায় সিরিয়া, গৃহযুদ্ধ আসন্ন’

ফের সংঘর্ষে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ, আবাসিক হল বন্ধ

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

স্বদেশ ডেস্ক: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দুটি গ্রুপ আব্দুস সালাম হল ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিবাদমান দুটি গ্রুপ।

এসময় আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ মারাত্মকভাবে জখম হন। এ ছাড়া আহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন সুমন ও সহকারী প্রক্টর আল-আমিন শিকদার। তাদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ড. ফিরোজের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহীদ আব্দুস সালাম হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শহরে পৌঁছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সবাইকে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে সবাইকে হল থেকে মাইজদীতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকেই দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ধূমপানকে কেন্দ্র করে সিনিয়র এবং জুনিয়রের মধ্যে কথা-কটাকাটি হয়। এর জেরেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ধ্রুব গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

ওইদিন রাতের মারামারিকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে ফের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে থাকে। যা রোববার রাতে আবারও সংঘর্ষে রূপ নেয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ