স্বদেশ ডেস্ক:
প্রথমে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ ফুটবল। ২০১৭ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলাদের জন্য নির্দিষ্ট এই বয়স ভিত্তিক আসর। কোনো টুর্নামেন্টই বাংলাদেশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলংকা। পারলোনা এবারও। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যানীতে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির বিপক্ষে অতীতের চেয়ে বড় জয় লাল সবুজদের।
লংকানদের ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে আরো এগিয়ে গেল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলার কিশোররা। তাদের এই বিশাল জয়ের নেপথ্য নায়ক আল আমিন রহমান। তার হ্যাটট্রিকে টুর্নামেন্টে পারভেজ বাবুর দলের টানা দ্বিতীয় জয়। মোট চার গোল করেন আল আমিন রহমান। ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তার গোল ছিল একটি। সে ম্যাচে লাল সবুজদের জয় ছিল ৫-২ এ। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২৭ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে। নেপাল প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ০-৫ গোলে হারলেও ২-০তে জিতেছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে। ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।
লংকানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে ২০১১ এর কাঠমান্ডু সাফে ৬-২ গোলে জিতেছিল। সে খেলায় হ্যাটট্রিক করেন মেজবাহ। ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে ৩-১, ২০১৫ সালে সিলেটে ৪-০ এবং ২০১৭ সালে ফের কাঠমান্ডুতে ৪-০ গোলের জয়। ২০১৭ সালে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমও তাদের জালে বল পাঠান তিন বার।
আজকের ম্যাচে ৩২ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম গোল। বক্সে ঢুকে আনুষ্ঠানিকতা সারেন ফরোয়ার্ড আল আমিন রহমান। ৪২ মিনিটে অধিনায়ক রাকিবুল ইসলাম মাঝ মাঠে বলের দখল নিয়ে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল জালে পাঠান ডান পায়ের শটে। ৪৪ মিনিটে বক্সে ঢুকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় আল আমিনের।
৩-০ তে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর ৪৮ মিনিটে বাংলাদেশের চতুর্থ গোল আল মিরাদের হেডে। বাম দিক থেকে আসা লম্বা থ্রোতে ব্যাক হেড করেন বাংলাদেশের আরেক ফুটবলার। তাতে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠান ভুটানের বিপক্ষে জোড়া গোল করা মিরাদ। বাংলাদেশি ডিফেন্ডারের ভুল ক্লিয়ারেন্সের ফলে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ৫০ মিনিটে ব্যবধান কমান শ্রীলংকার এহসান মোহাম্মদ মিরহান।
৫৯ মিনিটে আল আমিন রহমানের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় পেনাল্টি থেকে। ৬৭ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে ৬ষ্ঠ গোল করেন বদলী মিডফিল্ডার গোলাম রাব্বী। ৭১ মিনিটে আল আমিনের চতুর্থ গোল সতীর্থের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে।