বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন

চতুর্মুখী সংকটে কোন পথ দেখাবে জি-২০

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

স্বদেশ ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ার বালির নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে অপার সৌন্দর্য্যরে সমুদ্রসৈকত আর সারি সারি পামগাছ। দ্বীপটির অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি বিশ্বের পর্যটকদের কাছে টেনে নেয়। কিন্তু সেখানেই আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উদীয়মান ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন।

এ বছর এমন সময় জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন গোটাবিশ্ব নানামুখী সংকটে নিমজ্জিত হয়ে আছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা, বিশ্ববাজারে মুদ্রাস্ফীতির আস্ফালন, দীর্ঘ আর্থিক মন্দা, উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি; এ ছাড়াও রয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দাপট। এমন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। বিবিসি প্রশ্ন তুলেছে তিনি কি এটি পারবেন?

বিবিসির সাংবাদিক জানিয়েছেন, জি-২০ সম্মেলন শুরুর আগে আমরা যখন উইদোদোর সঙ্গে কথা বলছিলাম, সেই সময় সম্মেলনকে তিনি অত্যন্ত কূটনীতিক ও চাপযুক্ত হিসেবে বর্ণনা করছিলেন। প্রসঙ্গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক হিসেবে এ দুই নেতা আগামীকাল সোমবার বসতে যাচ্ছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে উইদোদো বলেন, আলোচনা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট শি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনায় বসেন, তা হলে এটি হতে পারে বিশ্বের জন্য অত্যন্ত মঙ্গলজনক, বিশেষ করে তারা যদি কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারেন। এটি হতে পারে শুল্কমুক্ত বহুমুখী বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ইন্দোনেশিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে আসছে; কিন্তু গত এক দশকে চীন ধারাবাহিকভাবে তার শীর্ষ দুই বিদেশি বিনিয়োগকারীর একটি হিসেবে ইন্দোনেশিয়াকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু দুই ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে নেতিবাচক-সম্পর্ক বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সংঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। শুধু তাই নয়, এর ফলে এই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ যেমন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, তেমনই উত্তর কোরিয়াও একই ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া এ বছর রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, এর মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ