শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

আগের সাত ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক:

অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে লড়বে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। আগের সাত ফাইনালের মধ্যে দুই বার করে খেলেছে এই দুই দল। সমান একবার করে শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের।

২০০৭ সালে ১২ দলের অংশগ্রহণে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডার্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানকে ৫ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান করে ভারত। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ১৫২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

advertisement

২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। ১২ দলের ওই আসরের ফাইনালে ৮ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে পাকিস্তান। লর্ডসের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৮ রান করে শ্রীলংকা। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ১৩৯ রান করে ফাইনাল জেতে পাকিস্তান।

advertisement 4

২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ^কাপ জেতে ইংলিশরা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্রিজটাউনের কিংস্টন ওভালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১৭ ওভারেই অস্ট্রেলিয়ার ছুড়ে দেওয়া ১৪৮ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে ইংল্যান্ড।

২০১২ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ার দেশ শ্রীলংকায়। নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধাটা ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে ফাইনালে ওঠে লংকানরা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শ্রীলংকার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন চুরমার করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করে ক্যারিবীয়রা। জবাবে ৮ বল বাকি রেখে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

আসরের ফাইনাল খেলে এশিয়ার দুই দল ভারত ও শ্রীলংকা। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাদ পায় লংকানরা। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৩০ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ৪ উইকেটে ১৩৪ রান করে ১৩ বল বাকি রেখে শিরোপা জিতে নেয় লংকানরা।

টি-টেয়েন্টি বিশ^কাপের প্রথম পাঁচ আসরের শিরোপা জিতেছিল পাঁচ দল। ২০১৬ সালে ষষ্ঠ আসরে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের মাটিতে হওয়া বিশ^কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১৯ রান দরকার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ইংল্যান্ডের পেসার বেন স্টোকসের করা শেষ ওভারের প্রথম চার বলে চার ছক্কায় অবিশ^াস্যভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা জয়ের স্বাদ দেন কালোর্স ব্র্যাথওয়েট।

২০১৬ সালের পর ২০২১ সালে আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরের শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৭ বল বাকি রেখে ২ উইকেটে ১৭৩ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

রোল অব অনার

সাল আয়োজক চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ

২০০৭ দ. আফ্রিকা ভারত পাকিস্তান

২০০৯ ইংল্যান্ড পাকিস্তান শ্রীলংকা

২০১০ উইন্ডিজ ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া

২০১২ শ্রীলংকা উইন্ডিজ শ্রীলংকা

২০১৪ বাংলাদেশ শ্রীলংকা ভারত

২০১৬ ভারত উইন্ডিজ ইংল্যান্ড

২০২১ ইউএই অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877