বিনোদন ডেস্ক:
‘পরাণ’ সিনেমার পর ‘দামাল’- দুটি সিনেমায় অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। গতকাল শুক্রবার দেশের ২২ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে মিম অভিনীত ‘দামাল’। রায়হান রাফির পরিচালনায় এই সিনেমাতেও তার সহশিল্পী শরিফুল রাজ। মুক্তির পরপরই সিনেমাটি দারুণ সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে। সিনেমা ও সমসমায়িক বিষয় নিয়ে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন’র সঙ্গে কথা বলেছেন মিম।
‘দামাল’র জয়ধ্বনি কেমন?
হলে বসে তো আর পুরো ছবি দেখা হয়নি। যতটুকু দেখেছি তার কিছু বিবরণ দেই। দর্শকরা ছবিটি দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছে। ছবির যে যে দৃশ্যগুলোতে উত্তেজনা, সেখানে হলের শব্দ থেকেও দর্শকদের শব্দ অনেক বেশি ছিল। আমরা সবাই অবাক হয়ে গেছি এমন দৃশ্য দেখে। আর ছবিটি চলাকালীন সবার চোখ ছিল স্কিনের দিকে। তার মানে দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ‘দামাল’। আমাদের সবার বিশ্বাস ছবিটি সামনে বেশ আলোচনায় আসবে।
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাগুলোর প্রতি অনেকের ভাবনা- সিনেমাগুলো একঘেয়েমি হয়ে থাকে। ‘দামাল’ সেই ভাবনা ভাঙতে পারবে?
আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, ‘দামাল’ এই ভাবনা ভেঙেছে। যারা দেখেছেন তারাই বলছেন। আর যারা দেখবেন তারাও বলবেন। প্রথমদিন দর্শকদের সাড়াই কথা বলেছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প হলেও ‘দামাল’র গল্প-ভাবনা ভিন্ন। এখানে বিভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে।
‘পরাণ’ সিনেমার টিমকে নিয়ে ‘দামাল’। দুটো সিনেমাই দর্শকদের মন জয় করেছে। বিষয়টি কী কাকতালীয়?
না, কারণ দুটো ছবির গল্প দুই রকম। আর ‘পরাণ’র কাজ করার মাঝেই ‘দামাল’র কাজ করেছি। প্রথম ছবি করার পরই আমরা সবাই একটি টিম হয়ে গেছি। যেহেতু ‘পরাণ’র নির্মাতা ও সহ-অভিনেতার সঙ্গে বনিবনাও ছিল বেশ ভালো। তাই কাজটি করে আমিও বেশ আনন্দ পেয়েছি। ‘পরাণ’ মুক্তির পরপরই আমি বলেছি, আমাদের পরবর্তী ছবিও দর্শকদের মন জয় করবে। শুরু থেকেই ‘দামাল’ নিয়ে সবার বিশ্বাস ছিল। কারণ এর গল্পটাই হল এর মূল নায়ক।
সিনেমার প্রচারণায় ভিন্নমাত্র যোগ করেছে ‘দামাল’। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
একটা ছবি অভিনয় আর নির্মাণের পরই কিন্তু এর কাজ শেষ না। এটি সবার সামনে তুলে ধরাও একটি বড় কাজ। আমি মনে করি, প্রতিটি ছবির ক্ষেত্রেই প্রচারণা করা দরকার। এই প্রচারণার জন্যও একটা বাজেট থাকে। অনেক প্রযোজক আছে, যারা এই বাজেটটি রাখে না। কিন্তু একটি ছবির ক্ষেত্রে সব মিলিয়েই বাজের তৈরি করা দরকার।
ব্যক্তিজীবন প্রসঙ্গ : সংসার জীবন কেমন কাটছে?
অনেক ভালো আছি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা বেশ ভালো। তাই সংসার জীবন সুখেই কাটছে।
কোনো সুসংবাদ…
না, এখনও সময় হয়নি। সুখবরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। মাঝে কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এবার স্বামীকে (সনি পোদ্দার) নিয়ে ঘুরতে যাবো। কয়েকদিন একটু অবসরে যেতে চাই, আপাতত এটুকুই।
শিল্পীদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ইদানিং বেশি হচ্ছে। ক’দিন আগে আপনার একটি পোস্ট ঘিরেও হয়েছে আলোচনা। কাকে উদ্দেশ্য করে পোস্টটি দিয়েছিলেন?
আসলে, কাউকে উদ্দেশ্য করে পোস্টটি করিনি। ওই সময় মন চেয়েছে, তাই মনের ভাষা প্রকাশের জন্য ফেসবুক বেছে নিয়েছি। এর বেশি কিছুই না। আর পোস্টটি নিয়ে যে আলোচনা হবে, তারও কোনো মানে আমি খুঁজে পায়নি।
শিল্পীদের আইডল মানেন অনেকেই। তাহলে কী কোনো কিছু করার আগে বিষয়টি মনে রাখা উচিত না?
তা তো অবশ্যই। আপনি দেখবেন একজন শিল্পীর নামে কোনো নেগেটিভ কথা রটলে- সবাই বলে ‘তোমরা’! এটা কিন্তু আমাদের ওপরই এসে পড়ে। তাই আমিসহ সকল শিল্পীদের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব নিয়ে ভাবা উচিত। আমাদের কথাবার্তা-চালচলনে মার্জিত হতে হবে। যাতে আমাদের নিয়ে কেউ নেগেটিভ কথা না বলতে পারে।