বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

প্রশান্তির জন্য নামাজ

প্রশান্তির জন্য নামাজ

স্বদেশ ডেস্ক:

আল্লাহতায়ালা মুসলমানের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মুসলিমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকে।

নামাজ পড়ার নিয়ম-কানুন যেন ব্যক্তির সুস্থ-সবল থাকার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম। কোনো ব্যক্তি তার শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ব্যায়াম করে তার সবই যেন প্রতিফলিত হয় নামাজ পড়ার সময় ব্যক্তির অঙ্গপ্রতঙ্গের বিভিন্ন ক্রিয়ার মাধ্যমে।

নামাজ পড়ার আগে মুসলমানরা ওজু করার মাধ্যমে শরীরকে পবিত্র করে নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়। ওজুর মাধ্যমে ব্যক্তি তার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো পরিষ্কার করে নেয় এবং জীবাণু থেকে এভাবে রক্ষা পায়।

ওজু করার সময় মুখে ম্যাসেস করার ফলে মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। নামাজে দাঁড়ানোর সময় একজন ব্যক্তি সোজা হয়ে দাঁড়ায় নামাজের নিয়মানুযায়ী, ফলে মেরুদণ্ড স্বাভাবিক থাকে। তাকবির তাহরিমায় হাত উঠানো, হাত নামানো হয় ফলে বাহুদ্বয়ের ব্যায়াম হয়। হাত বাঁধার ফলে কনুইয়ের আশপাশের পেশির ও বগলের পেশির ব্যায়াম হয়। হাত বাঁধার সময় এক হাতের সঙ্গে আরেক হাতের আঁকড়ে ধরার কারণে হাতের তালু, আঙুল ও কবজির ব্যায়াম হয়। ব্যক্তি নামাজরত অবস্থায় রুকুতে গেলে তার পিঠ সমান্তরাল থাকে, ফলে পিঠ ও ঘাড়ের পেশি সম্প্রসারিত হয়।

নামাজে যথাযথভাবে এ রুকু করার ফলে ব্যক্তির পিঠ ব্যথা দূর হয়। নামাজরত অবস্থায় ব্যক্তি যখন সেজদায় যায় তার মাথা জমিনে রাখে ফলে শরীরের সব হাড়ের জোড়াগুলো নমনীয় হয় ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিকভাবে ঘটে ও উচ্চরক্তচাপ কমার সম্ভাবনা থাকে। সেজদা অবস্থায় ব্যক্তির হাত, পিঠ ও কোমরের ব্যায়াম হয়। পেট ও পেটের নিচের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ নড়াচড়া হয় ও রক্ত চলাচল বেড়ে যায়, ফলে অনেক রোগের উপকার হয়। যেমন-কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম ইত্যাদি। নামাজে বসারত অবস্থায় হাঁটু ও পায়ের গোড়ালির ওপর চাপ পড়ে ফলে এক ধরনের ব্যায়াম হয়। নামাজে বসা অবস্থায় ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ব্যক্তি নামাজ শেষ করে ফলে ব্যক্তির ঘাড়ের ব্যায়াম হয়। অর্থাৎ দেখা যায় নামাজ পড়ার মাধ্যমে ব্যক্তির অঙ্গপ্রতঙ্গের ব্যায়াম হয় যা ব্যক্তিকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।

ব্যক্তি নামাজ পড়ার মাধ্যমে শুধু শারীরিক নয় বরং মানসিক প্রশান্তিও ফিরে পায়। কারণ নামাজ এমন এক ইবাদত যার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করে। ব্যক্তি এ ইবাদতের মাধ্যমে তার সব কষ্ট, দুঃখ, আকাঙ্ক্ষা, চাওয়া-পাওয়া সব তার মালিকের কাছে বলতে পারে যা ব্যক্তিকে এক প্রকার মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

নামাজের সময় ব্যক্তির মন পবিত্র থাকে, শান্ত থাকে ফলে ব্যক্তির অঙ্গপ্রতঙ্গগুলোর কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়, ব্যক্তির জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায় যা ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বহিঃপ্রকাশ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে ব্যক্তি অবহিত থাকার কারণে সময়ানুবর্তি হয়ে ওঠে। ব্যক্তির জীবনে শৃঙ্খলা ফিরে আসে ও ব্যক্তি অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে পারে।

জীবনের সব হতাশা, অশান্তি, বিষণ্নতা, অস্থিরতার নিগড় থেকে বেরিয়ে মানসিক শান্তি লাভ করে। এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় একজন মুসলিম ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877