মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

নিউজিল্যান্ডে সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়ে ৫০০ পাইলট তিমির মৃত্যু

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২

স্বদেশ ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে একদল পাইলট তিমি আটকে পড়ায় প্রায় পাঁচ শ’ তিমি মারা গেছে।

সরকার মঙ্গলবার বলেছে, ওই জলসীমায় ব্যাপক হাঙ্গরের উপস্থিতির কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাতিল করা হয়েছে।

কনজারভেশন বিভাগ জানিয়েছে, দু’টি দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়া তিমিদের দু’টি দলের কষ্টকর মৃত্যু এড়াতে এনেস্থিসিয়া প্রয়োগ করা হয়।

শুক্রবার চাথাম দ্বীপে ২৫০টি পাইলট তিমি সৈকতে মৃত পাওয়া গেছে এবং তিন দিন পর পিট দ্বীপে আরো ২৪০টি তিমির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কতৃপক্ষ বলেছে, এই দ্বীপগুলো নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে। সেখানে উদ্ধার অভিযান অসম্ভব।

“মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্য হাঙ্গর আক্রমণের ঝুঁকির কারণে আমাদের প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল তিমিগুলোর কষ্ট লাঘবে ‘এনেস্থিসিয়া’ প্রয়োগ করে।”

সরকারের সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি উপদেষ্টা ডেভ লুন্ডকুইস্ট এএফপি’কে এ কথা জানিয়েছেন।

‘এ সিদ্ধান্তটি কখনই হালকাভাবে নেয়া হয়নি, তবে এই জাতীয় ক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে বিকল্প হিসেবে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।’

মৃত তিমিগুলো প্রাকৃতিকভাবে পচে যাওয়ার জন্য সেখানেই রেখে দেয়া হবে।

চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে ব্যাপক তিমি আটকে পড়া অস্বাভাবিক নয়, যেখানে সমুদ্র সৈকতে ১৯১৮ সালে আনুমানিক এক হাজার তিমি আটকা পড়েছিল। ২০১৭ সালে সেখানে প্রায় সাত শ’টি পাইলট আটকা পড়ে।

কেন তিমিগুলো সমুদ্রতীরে ছুটে এসে আটকা পড়ে বিজ্ঞানীদের কাছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে গবেষকরা মনে করেন, তিমির দল খাবারের জন্য ভুল পথে ছুটে এসে তীরে আটকা পড়ে।

পাইলট তিমি ছয় মিটার (২০ ফুট) লম্বা হতে পারে। এরা অত্যন্ত মিশুক, এরা দলবেঁধে চলে এবং দলের সাথীদের অনুসরণ করে বিপদে পড়ে যায়।

সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় তিন শ’ তিমি সমুদ্র সৈকতে আত্মাহুতি দেয়।

গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল পশ্চিম তাসমানিয়ায় একটি সমুদ্র সৈকতে প্রায় দুই শ’ পাইলট তিমি মারা গেছে। দেশটির ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এখানে আটকে পড়া তিমিগুলোর মাত্র ৪৪টি সমুদ্রে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ