স্বদেশ ডেস্ক:
সারাদেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা না হওয়াটাই যেন এক অলৌকিক বিষয়। এ নিয়ে এত আলোচনা, আন্দোলন ও নির্দেশনার পরও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।
গতকাল আমাদের সময়ের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে সেভ দ্য রোড জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১৭ জন। এ ৩০ দিনে ৩ হাজার ৫৯৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮০ জন। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচলের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৫৯টি, এতে আহত হয়েছেন ৫১৪ জন, নিহত ৬৮ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১২ জন। রেলপথে ১৭৮টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৭৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দুর্ঘটনার অন্যতম কারণগুলো উল্লেখ করেছে- বাইকলেন না থাকা, নিয়ম না মেনে নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে বাহন চালানো, যাত্রীদের অসাবধানতার সঙ্গে পথচলা। এ ছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে। আর বিভিন্ন অসতর্কতার কারণে এভাবে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু কিংবা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যেভাবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষকে প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়, যানবাহনে চড়তে হয়। চলার পথেই আর কত মানুষের এভাবে মৃত্যু হবে! আমার কি কোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে পারব না?
যখন গাড়ির গতি বৃদ্ধি ছাড়াও মহাসড়কে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট যানবাহন চলার কারণে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ আসছে, তখন এ বিষয়টি বিবেচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে দ্রুত। দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী নিতে হবে সুষ্ঠু পদক্ষেপ। বিচারহীন, প্রতিকারহীন অবস্থায় কোনো কিছু চলতে থাকলে এর পুনরাবৃত্তি তো ঘটবেই। তাই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ। দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে ভাবতে হবে। সামগ্রিকভাবে দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্টরা যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দৃঢ় এবং আন্তরিক হবেন- এমনটিই প্রত্যাশা।