বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, দাবি চরমোনাই পীরের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দলগুলোর যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়: তারেক রহমান এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অবহেলায় এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ দলকে না জানিয়ে কক্সবাজারে, ৫ নেতাকে শোকজ এনসিপির পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৭৬ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক তারেক রহমানের ১৫ দিন পর মাইলস্টোনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনে ছাত্রদলের নিন্দা, ছাত্রশিবির বলছে ‘কুতর্ক ও মব’

বেড়ে গেছে চোখ ওঠার সমস্যা

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

স্বদেশ ডেস্ক:

হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চোখ ওঠার সমস্যা। তবে এর জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। সাময়িক কষ্ট হলেও এটি মারাত্মক নয়। চোখ ওঠা সমস্যা এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে তা ফেলে রাখা যাবে না। বরং চোখের নিতে হবে যত্ন। নয়তো বাড়তে পারে ভোগান্তি।
চোখ ওঠার কারণ: চোখ ওঠার প্রধান কারণ হতে পারে ভাইরাস। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া  আক্রমনেও  দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে চোখ লাল হয়ে যায়। থাকে ব্যথা ও খচখচে ভাব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসের কারণেই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। অপরিষ্কার জীবনযাপনের কারণে এই সমস্যা বেশি হয়।
চোখ ওঠার লক্ষণ:
* চোখ লাল হয়ে যাওয়া
* ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা
* সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি
* চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা
* আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা
* সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা
* চোখ দিয়ে পানি পড়া
* চোখের কোনায় ময়লা জমা
* চোখ ফুলে যাওয়া।
চোখ ওঠার সমস্যায় করণীয়

পানির ঝাপটা দিন : সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে পরিষ্কার পানির ঝাপটা দিতে হবে। চোখে কোনো ধরনের নোংরা পানি, ধুলোবালি যেন প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। চোখ আঠালো হয়ে থাকলে বার বার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অকারণে চোখে হাত দেওয়া যাবে না।

সানগ্লাস ব্যবহার করুন : আপনার চোখ আক্রান্ত হলে সেখান থেকে আরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে সম্ভব হলে বাড়িতে থাকুন। যদি বাইরে বের হতে হয় তবে অবশ্যই সানগ্লাস পরে বের হবেন। এটি আপনাকেও সুরক্ষিত রাখবে। রোদের কারণে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

ড্রপ ব্যবহার : ভাইরাসের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেজন্য দিনে তিন-থেকে চারবার চোখের ড্রপ ব্যভহার করতে পারেন। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য ড্রপ ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে সেজন্য ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। তবে সবটাই করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। নিজ থেকে কোনো ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করবেন না। এতে উপকারের বদলে ক্ষতি বেশি হতে পারে।

সতর্ক থাকুন : চোখ ওঠা যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, তোয়ালে, বিছানাপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। সেই সঙ্গে বিরত থাকতে হবে হ্যান্ডশেক বা জড়িয়ে ধরা থেকেও। অপরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ করবেন না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ