স্বদেশ ডেস্ক:
প্যানক্রিয়াসের ইনফেকশনে স্বাভাবিক টিস্যু নষ্ট হয়ে শক্ত টিস্যুতে রূপান্তরিত হয়। ফলে প্যানক্রিয়াস শক্ত হতে থাকে। আক্রান্তের ক্ষেত্রে পুরুষের হার নারীর তুলনায় ৪ গুণ।
রোগের কারণ : অজানা কারণে এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি। যারা গরম আবহাওয়ায় বসবাস করেন, যেমনÑ ভারতের কেরালা, তাদের ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি। তরুণ বয়সে প্যানক্রিয়েটাইটিস হয়। ডায়াবেটিসও দেখা দেয়। পাথর তৈরি হয়। যেসব তরুণ বেশি বেশি ধূমপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
উপসর্গ : ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাবের উপসর্গ দেখা দেয়। প্যানক্রিয়াসে আঘাত হলে এ রোগ দেখা দেয়। এ রোগে ব্যথার ভয়ে খাওয়ার রুচি কমতে থাকে। ফলে ওজন কমে যায়। ঘুম কমে যায়। কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। অসুখের তীব্রতা এমন রূপ নেয়, বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। জীবনযাপনের স্বাভাবিক ক্ষমতাও কমতে থাকে। জীবন ওষুধনির্ভর হয়ে পড়ে। ডায়রিয়াও দেখা দেয়।
লক্ষণ : ব্যথা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। পেটের উপরিভাগের মাঝখানে ব্যথা হয়ে থাকে (যদি ইনফেকশন প্যানক্রিয়াসের মাথায় হয়)। যদি ইনফেকশন প্যানক্রিয়াসের গায়ে হয়, তখন ব্যথা হবে পেটের ওপরের অংশের বাঁদিকে, যা পেছন হয়ে ব্যথা চলে যায় বাঁ কাঁধে। ব্যথা সব সময় হয় এবং থেকে থেকে হয়।
পরীক্ষা : প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের জন্য সিরাম এমাইলেস পরিমাপ করা হয়। সিটিস্ক্যান দিয়ে দেখা হয় প্যানক্রিয়াসের মূল নালির অবস্থা। ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা, নালিতে পাথর আছে কিনা, প্যানক্রিয়াস ফুলে আছে কিনা এসব দেখতে হয়। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে প্যানক্রিয়াসের আয়তন ও নালির ব্যাস দেখা হয়। এমআরসিপি, আইআরসিপি, পিটিসি পরীক্ষাগুলো করা হয় নানা কারণে। চিকিৎসা : প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে কারণ নির্ণয় করা যায়। ফলে চিকিৎসা দিলে রোগী ভালো হয়ে ওঠেন। সার্জারির সময় পাথর বের করে আনা হয়। প্যানক্রিয়াস সার্জারি প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি, যা সারাবিশ্বে স্বীকৃত। এর নাম পাস্তো পদ্ধতি। এর অনেক রূপান্তর হয়েছে। এমন একটি পদ্ধতি হলো শহিদ পদ্ধতি। এতে এক জায়গায় কাটতে ও সেলাই করতে হয়। জটিলতা ও সময় দুটোই কম লাগে।