শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

ঢাকায় ফেরত ১৮ হাজীর লাগেজ নিয়ে বিপত্তি

ঢাকায় ফেরত ১৮ হাজীর লাগেজ নিয়ে বিপত্তি

স্বদেশ ডেস্ক:

পকেটে থাকা পাসপোর্ট ছাড়া আর সবকিছুই হারিয়ে গেছে ঢাকায় ফেরত ১৮ জন হাজীর। রোববার ভোর সাড়ে ছয়টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন এই হাজীরা। আজ সোমবার দুপুরে হারানো লাগেজের খোঁজ পেতে বিমানবন্দরে আবারো এসেছেন তাদের অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত লাগেজ ঢাকায় পৌঁছার খবর পাওয়া গেছে।

১৭ আগস্ট থেকে ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরুর দ্বিতীয় দিনেই লাগেজ হারানোর এই বিপত্তিটি ঘটেছে।

সদ্য হজ থেকে ফেরত বাবা-মাকে নিয়ে আজ দুপুরে বিমানবন্দরে এসেছেন শফিকুল হোসেন সুজন নামের নিটল গ্রুপের এক কর্মকর্তা। নয়া দিগন্তকে তিনি জানান, আমার বাবা ও মা রোববার ভোরে ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু সাথে থাকা পাসপোর্ট ছাড়া বাকি সবকিছুই হারিয়েছেন তারা। বিমান থেকে নেমে দীর্ঘক্ষণ লাগেজ বেল্টের কাছে দাঁড়িয়ে থেকেও তারা লাগেজ ও জমজমের পানির বোতলের কিছুই পাননি। পরে সৌদি এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে অভিযোগ দিয়ে বাসায় চলে যান তারা। অনেকেই সেখানে কান্নাকাটিও করেছেন। আজ আবার বাবা-মাকে সাথে নিয়েই লাগেজের খোঁজ নিতে এসেছি।

তিনি আরো জানান, তার মা-বাবার মতো একই ফ্লাইটের আরো ১৬ জন হাজীও সবকিছু হারিয়েছেন। আজ তাদের অনেকেই আবারো এসেছেন হারানো লাগেজের খোঁজ নিতে।

এদিকে, হারানো লাগেজের খোঁজ নিতে সদ্য ঢাকায় ফেরা হাজী ছাড়া অন্য কাউকেই বিমানবন্দনের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কাউন্টারে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অনেক বয়স্ক হাজী কিংবা নারী হাজীদের সন্তান কিংবা অন্য কোনো স্বজনকেও ফেরত দেয়া হচ্ছে। তবে বিমানবন্দরের বাইরে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার থেকে তিন শ’ টাকার টিকিট কাটলেই কেবল ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

আমিরুল ইসলাম নামের একজন অভিযোগ করেন, আমার মা বয়স্ক মানুষ। মায়ের লাগেজের খোঁজ নিতে গতকাল একবার এসে তিন শ’ টাকার টিকিট কেটেছি। আজ আবার আমাকে পুনরায় তিন শ’ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। এভাবে যদি আরো কয়েকবার আসতে হয় তাহলে প্রত্যেকবারই আমাকে টিকিট কাটতে হবে।

একই ফ্লাইটের মোশাররফ হোসেন এবং তার স্ত্রী নার্গিস আক্তারও হারিয়েছেন তাদের লাগেজ। হাজী মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা রোববার সকাল সাড়ে ছয়টায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। আমাদের ফ্লাইটটি ছিল সৌদি এয়ারলাইন্সের এসবি ৩৮১৪ । আমরা লাগেজ এবং জমজমের পানির কিছুই পাইনি।

তিনি আরো জানান, আমাদের গ্রুপে হাজী ছিলাম মোট ৪৪ জন। এদের মধ্যে ১৮ জনই লাগেজ ও জমজমের পানি পাইনি।

সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় নিটল গ্রুপের শফিকুল হোসেন সুজন নামের ওই কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি তার বাবা ও মায়ের লাগেজ এবং জমজমের পানি হাতে পেয়েছেন। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের সৌদী এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে তাকে এ মর্মে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, লাগেজ হারানো বাকি ১৬ জনের মধ্যে যারা নিজেরা অথবা অন্য কোনো স্বজন যদি পাসপোর্ট নিয়ে আসেন তাহলে সাথে সাথেই তাদেরকে লাগেজ ফেরত দেয়া হবে। আর কেউ যদি না আসেন তাহলে কর্তৃপক্ষ লাগেজ ও জমজমের পানি নিজ দায়িত্বে হাজীদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে।

কর্মকর্তারা আরো জানান, জেদ্দা বিমানবন্দর থেকেই এই ১৮ জনের লাগেজ বুকিংয়ের সময়ে ভুল হয়েছিল। রোববার সকালে নির্দিষ্ট ফ্লাইটে না এসে এ ১৮টি লাগেজ বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকায় এসেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877