বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন যু্ক্তরাষ্ট্রের সেতু দুর্ঘটনা, বিশ্বজুড়ে প্রভাবের আশঙ্কা ৫ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা ভুল হলে শুধরে দিবেন : বিএসএমএমইউ নতুন ভিসি বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত যেকোনো দিন কাওরান বাজার স্থানান্তরের কাজ শুরু
রংপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রংপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

স্বদেশ ডেস্ক:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গঙ্গাচড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জসহ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

গঙ্গচড়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মমতাজুল হক বলেন, ‘গতকাল দুপুরে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আলীম মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন। বর্তমানে গঙ্গাচড়ায় স্বাভাবিক পরিস্থিত বিরাজ করছে।’ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গঙ্গাচড়া বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে কিছু দোকান খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এদিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়।

রংপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন সুজন দাবি করেন, ‘বৃহস্পতিবার পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে আমাদের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশের ভয়ে অনেকে বাড়ি ছাড়া। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।’

অন্যদিকে বিএনপি ও ছাত্রদলের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং পুলিশ-সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে গঙ্গাচড়া উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও অংশ নেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877