স্বদেশ ডেস্ক:
পরকীয়ার টানে বিয়ের ছয় বছর পর সন্তান ফেলে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছিলেন স্ত্রী। এই ক্ষোভে স্বামী ফেরদৌস শেখ অপহরণ করেন শ্যালিকাকে। পাঁচ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করেন বিভিন্ন স্থানে নিয়ে। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকেও (১৫)।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে। গতকাল শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ফেরদৌস শেখসহ আটজনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে মেয়েটির বড় বোনকে বিয়ে করেন ফেরদৌস শেখ। তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় মজে পালিয়ে যান তিনি। তাকে বিয়েও করেন ভুক্তভোগীর বোন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১২ মার্চ শ্যালিকাকে অপহরণ করেন ফেরদৌস। নাজিরপুরেই বিভিন্ন স্থানে তাকে রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকেন তিনি। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে সহায়তা করে।
মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করলে অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেরদৌসকে আটক ও তার তথ্যমতে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।পরে মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করেন।
নাজিরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফেরদৌস শেখকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে নেওয়া হয়েছে।