স্বদেশ ডেস্ক:
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে জ্বালানি তেলের কোনো আন্তর্জাতিক সরবরাহ আসছে না। ফলে দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র সঙ্কট। ছবিঘরে থাকছে সঙ্কটের কিছু চিত্র।
প্রেসিডেন্টের বাসভবনে
জ্বালানির দাবিতে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের সামনে গাড়ি নিয়ে জড়ো হয়েছেন একদল বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। তাদের সরাতে গেলে এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তর্কে লিপ্ত হতে দেখা যায় দুই বিক্ষোভকারীকে।
গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি
প্রেসিডেন্টের বাসভবন অবরোধ করার সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। তবে এতে বিক্ষোভ থামানো যায়নি। বরং গ্রেফতার হওয়াদের মুক্তি দাবিতে পতাকা ও ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে আবার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করেন আন্দোলনকারীরা।
গাড়ির লম্বা লাইন
কোনো পেট্রল পাম্পে তেল নেই। রাস্তার দুপাশে মাইলের পর মাইল জ্বালানি সংগ্রহ করতে আসা গাড়ি এবং মোটরসাইকেল দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।
রান্নার গ্যাসও নেই
গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারছেন না অনেকে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় একজনকে দেখা যাচ্ছে সাইকেলে রান্নার গ্যাসের একটি সিলিন্ডার নিয়ে বাসায় যাচ্ছেন।
দুই পা ভরসা
জ্বালানি সঙ্কটে রাস্তায় গণপরিবহণও ঠিকমতো চলছে না। ফলে অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে হেঁটেই যাতায়াত করছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থবির হয়ে পড়ায় অফিস আদালতেও ঠিকমতো কার্যক্রম চলছে না।
মোটরসাইকেলের জট
কিছু দূরের পথ যেতে মধ্যবিত্তদের ভরসা মোটরসাইকেল। কিন্তু জ্বালানি না পাওয়ায় অনেকেই চালাতে পারছেন না নিজের মোটরসাইকেল। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে না থাকলে তেল পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। এজন্য কাজ বাদ দিয়ে অনেকেই নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে ভোর থেকেই দাঁড়িয়ে আছেন লম্বা লাইনে। কখন জ্বালানি পাওয়া যাবে, আদৌ পাওয়া যাবে কিনা জানেন না কেউ।
বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী
কেবল প্রেসিডেন্টের বাসভবন নয়, ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনের সামনে প্রধান বিরোধী দল সামাগি জানা বালাওয়েগায়ার অঙ্গসংগঠন সামাগি ভানিতা বালাওয়েগায়া-র কর্মীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ভিক্ষুরাও রাজপথে
ছাত্র-জনতার সাথে রাজপথে নেমেছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও। কলম্বোতে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা। তাদের দাবি- প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করতে হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে