রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন

৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব না : ইসিপি

৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব না : ইসিপি

স্বদেশ ডেস্ক:

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর আগামী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ইসিপির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ডন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন কমিশনের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না, সার্বিক প্রস্তুতির জন্য অন্তত ছয় মাস সময় প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার নতুন সীমাবদ্ধতা, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ২৬ সংশোধনীর অধীনে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকাগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।

নির্বাচন কমিশনের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, পদ্ধতিগত সমস্যা সংকটেই ন্যূনতম তিন মাসের প্রয়োজন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা আরেকটি বড় কাজ। এ ছাড়া নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণও চ্যালেঞ্জের বিষয়। আইন অনুযায়ী, জল ছাপ দেওয়া ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে, যা দেশে পাওয়া যায় না, আমদানি করতে হবে বলেও জানান তিনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে।

এদিকে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এখন প্রধানমন্ত্রী খুঁজছে পাকিস্তান। সংবিধানের ২২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘এ’ ধারার ৪ উপধারা অনুযায়ী এখন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে বিদায় নিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও একজনের নাম জমা দিয়েছেন।

নানা নাটকীয়কতার পর গত ৩ এপ্রিল ভেঙে দেওয়া হয় পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। অর্ন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হওয়ার পরই ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

গত সোমবার সাবেক প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠান ইমরান। এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফকে চিঠি পাঠান রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। এতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নাম জমা দিতে বলেন তিনি।

অবশ্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থেকে। এ ব্যাপারে দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর বানদিয়ান জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের অধীনে। এ বিষয়ে আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877