স্বদেশ ডেস্ক:
কোর্ট ম্যারিজ। শব্দ দুটি শুনলেই মনে হয়- কোর্টে গিয়ে বিয়ে করার মতো কোনো ব্যাপার বুঝি! আদতে এর কোনো আইনগত ভিত্তিই নেই। এটি লোকমুখে প্রচলিত একটি ধারণা মাত্র। প্রচলিত অর্থে কোর্ট ম্যারিজ বলতে প্রাপ্ত বয়স্ক যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে হলফনামার মাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দেওয়াকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের (সরকারি রেজিস্ট্রার্ড উকিল) কার্যালয়ে গিয়ে এ হলফনামা সম্পন্ন করতে হয়। এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিস্ট্রি ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল এ ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। এরূপ না করা হলে ওই হলফনামার কোনো আইনগত ভিত্তি থাকবে না। কোনো এক সময় যদি একপক্ষ অন্যপক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত প্রতিকার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফুল হাসান খান বলেন, কোর্ট ম্যারিজ বলতে আইনে কোনো বিধান নেই। তবে যখন কেউ কাবিন রেজিস্ট্রি ও আকদ সম্পন্ন করে নোটারি পাবলিকের কাছে গিয়ে এ মর্মে হলফনামায় সই করে যে- তিনি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক এবং স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে তার পছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে একত্রে বসবাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তখন এটা বিয়েপরবর্তী নানা সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
দুইজনের ভালোবাসার সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিতে গিয়ে যখন অনিশ্চয়তার আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন অনেকেই মনে করেন কোর্ট ম্যারিজ করবেন। কোর্ট ম্যারিজ নয় বরং নিরূপায় হলে আপনি দুইজন সাক্ষী নিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে আকদ ও কাবিন রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হবে।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রিকরণ) আইন-১৯৭৪-এর ধারা ৩-এ বলা হয়েছে- অন্য যে কোনো আইন, প্রথা বা রীতিতে যে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও মুসলিম আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এ আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করতে হবে।