স্বদেশ ডেস্ক: দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র সরকারি বাসভবন। ঐতিহ্য আর অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কারণে নাটোরে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকের কাছে প্রধান আকর্ষণ এই ভবন। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যম-িত দর্শনীয় এই প্রাসাদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। একসময়ের আলো ঝলমল এই জমিদারবাড়ি তার আপন সৌন্দর্য, ইতিহাস, শৈল্পিক নিদর্শন আর অনন্যতায় যুগ যুগ ধরে দৃষ্টি কাড়ছে দর্শনার্থীদের। একসময় জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ভেতরে ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল; কিন্তু ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ১০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে দর্শনার্থীদের জন্য তা উন্মুক্ত করা হয়েছে।
পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি উত্তরা গণভবন ঘিরে ৬৫ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প হাতে নেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু গত ১০ মার্চ হঠাৎ করেই ঐতিহাসিক এই স্থানে নতুন স্থাপনা নির্মাণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। সুদৃশ্য কারুকার্যখচিত প্রধান ফটক, রাজ প্যালেস, ইতালিয়ান গার্ডেন-সমৃদ্ধ গণভবনকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লাগানো হৈমন্তি গাছ রক্ষা, রাজকন্যা ইন্দুপ্রভা দেবীর চিঠি ও কবিতাসহ রাজরাজড়াদের নানা স্মৃতিস্মারক দিয়ে সংগ্রহশালা স্থাপন, মিনি চিড়িয়াখানা স্থাপন, পাখির অভয়াশ্রমসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেগা প্রকল্পের আওতায় ভবনের ভেতরে ঝুলন্ত সংযোগ সেতু, ওয়াচ টাওয়ার, দৃষ্টিনন্দন রাস্তা, বসার স্থানসহ দর্শনার্থীদের থাকার হোটেল, সিনেপ্লেক্স, শপিং মল, লেক, বাচ্চাদের খেলার মাঠসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু রিট আবেদনের কারণে উদ্যোগটি ভেস্তে যেতে বসেছে।