ধর্ষণ করেছে ছেলে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থায় বিয়ের দাবি নিয়ে গেলে মেয়েটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ধর্ষকের মা। তিনি বলেন, ‘ছেলে নয়, ছেলের বাবা তোকে বিয়ে করবে।’ ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে শুধু গালমন্দই নয়, বিষয়টি মীমাংসা করতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের শরণাপন্ন হয়েছে ধর্ষকের পরিবার।
ঘটনাটি নীলফামারী মীরগঞ্জ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রামের। জানা গেছে, গ্রামের এক দিনমজুরের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান ওরফে সুদারু হাবিবের ছেলে জয় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় মেয়েটির সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই স্কুলছাত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার লকডাউনের মধ্যে এ অভিযোগ ওঠার পর জানা যায়, কিছুদিন আগে জয়ের পরিবারের কাছে বিয়ের দাবি নিয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রী। পরে জয়ের মা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, তার ছেলে নয় বরং স্বামী বিয়ে করবেন স্কুলছাত্রীকে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, গত এক বছর যাবৎ তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এর মধ্যে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে জয়। ঘটনাটি প্রেমিক জয়কে জানালে সে তাকে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। মেয়েটির দাবি, ‘আমি টাকা চাই না, আমার পেটের বাচ্চার বাবার পরিচয় চাই।’
স্থানীয় লোকজন জানায়, ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালীরা এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মেয়েটির পরিবারকে মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। অসহায় পরিবারটি থানায় অভিযোগ করতে চাইলে স্থানীয় মাতব্বররা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বিচার দাবি করেছেন। কিন্তু অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। তার জিজ্ঞাসা, আমরা অসহায় গরিব বলে বিচার পাবো না? এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হুকুম আলী জানান, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
মীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’