স্বদেশ রিপোর্ট: সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মেলামেশা করছে সে ব্যাপারে অভিভাবকের নজরদারি থাকা জরুরি। তারা যেন বিপথে না যায় সে ব্যাপারেও দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবককেই বলে জানান নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেমস ও’নিল। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে টাউন হল মিটিংয়ে নিউইয়র্কের পুলিশ (এনওয়াইপিডি) কমিশনার জেমস ও’নিল বলেছেন, টাইমস স্কয়ারে হামলা চালিয়ে আমেরিকানদের হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণের অভিযোগে আটক বাংলাদেশি যুবক আশিকুল আলম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, জনগণের নিরাপত্তায় বদ্ধপরিকর আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে কোনও ধরনের আপোষের অবকাশ থাকতে পারে না। ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত টাউন হল মিটিংয়ের আয়োজন করে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশিদের আইন মেনে চলার প্রশংসা করে পুলিশ কমিশনার জেমস নিল সর্বাত্মক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাপার সভাপতি লেফটেন্যান্ট সুজাত খান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সার্জেন্ট হুমায়ূন কবির পুলিশ কমিশনারকে স্বাগত জানান। এ সময় নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে নির্বাহী পদে পদোন্নতি পাওয়া প্রথম বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন খন্দকার আব্দুল্লাহকে বিশেষভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। প্রবাসীরা ‘ধর্ম, বর্ণ এবং জাতিগত বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলে পুলিশ কমিশনার জানান, হেইট ক্রাইম টাস্কফোর্সে প্রয়োজন হলে একজন বাঙালি অফিসারও নেওয়া হবে। প্রত্যেক মাসে পুলিশ প্রিসিঙ্কটে কমিউনিটি ভিত্তিক সভা হয়। সে সভায় প্রবাসীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কমিউনিটির ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
নানা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ এন মজুমদার, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূলের সংগঠক ফাহাদ সোলায়মান, বিশিষ্ট সমাজকর্মী মাজেদা এ. উদ্দিন এবং জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকেও বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়।