বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ইভিএম যন্ত্র নিয়ে কোনো সন্দেহ বা সংশয় থাকলে যন্ত্রগুলো ভালোভাবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। সেই যন্ত্র দেখার পর সংশয়ে থাকা নেতাদের ভুল-ত্রুটি ভেঙে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আজ বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি, আপনারা মেশিনগুলো দেখেন। যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থেকে থাকে তখন আপনারা বলবেন। অযথা না দেখে, না জেনে বললে তো হবে না। কারণ আমরা মনে করি, ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, তাদের ভুল ধারণা ভেঙে যাবে। কারণ ইভিএমে কেউ জাল ভোট দিতে পারবে না, বাক্স ছিনতাই হবে না, ভোট কেটে বাক্সে ঢুকানো যাবে না। সুতরাং ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব।’
সিইসি বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলে ভোটার উপস্থিতি কম হয়। বগুড়ায় সেটা হবে না, এখানে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে আমরা আশা করছি, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, কোনো রকমের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না, অবাধে-নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারবে-সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করেছি।’
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আলমগীর।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম নতুন পদ্ধতি হলেও এতে ভোট প্রদান খুব সহজ। স্বচ্ছভাবে ভোট দেওয়া যায়। ভোট শেষে খুব দ্রুত অর্থাৎ এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দেওয়া সম্ভব। আগের মতো রাত জেগে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।’
বগুড়ায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বগুড়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে। এই নির্বাচনে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে না। তবে বুথগুলোতে ইভিএমের টেকনিক্যাল পারসন হিসেবে সেনা সদস্যরা থাকবে। তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে না। ইভিএমে কোনো সমস্যা হলে তারা দেখবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বগুড়া সদর আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন শাহ, জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা প্রমুখ।
উল্লেখ, নির্বাচনে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮জন ভোটারের জন্য ১৪১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।