পুনরায় নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরো চার বছরের জন্য তাকে নির্বাচিত করতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
প্রার্থিতা আগে ঘোষণা করলেও স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত থেকে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হাজার হাজার সমর্থকের মাঝে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় ফ্লোরিডাকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবার আবারও নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ‘যুক্তরাষ্ট্রকে টুকরো টুকরো’ করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন এই নেতা।
গত নির্বাচনের সময় নিজের প্রথম নির্বাচনী জনসভার কথা স্মরণ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে একটি ভেঙেপড়া রাজনৈতিক অবস্থানকে পুনরুজ্জীবিত করে জনগণের নির্বাচিত এবং জনগণের জন্য সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি।’
নিজের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণাকে ‘একটি দুর্দান্ত রাজনৈতিক আন্দোলন’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।
পুনরায় নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ঠিক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত লাখো মানুষকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। ডেমোক্র্যাটরা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
নির্বাচনী ঘোষণার একদিন আগে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করা লাখো অবৈধ মানুষকে বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ কার্যক্রমে ১০ লাখের অধিক মানুষের ওপর নজর দেওয়া হবে। তাদের বিষয়ে ফেডারেল আদালত চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন, কিন্তু তারা দেশে অবাধে রয়ে গেছেন।
মেক্সিকোর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, তিন সপ্তাহ আগে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার ২০০ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে জড়ো হতেন। এখন তা কমে প্রায় দুই হাজার ৬০০ হয়েছে।
মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ বলছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কখনোই ট্রাম্পের সমর্থন ৪৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। গত মাসে এ সমর্থন নেমে এসে ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্বাচনী জরিপ সংস্থা রাসমুসেনের জরিপ অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা ৪৮ শতাংশ।
তবে পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজের একটি জরিপ অনুযায়ী, জো বাইডেন ও বার্নি স্যান্ডার্সের চেয়ে যথাক্রমে ১০ ও ৯ শতাংশ পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প।
তবে এসব জরিপকে মোটেও আমলে নিচ্ছেন না ট্রাম্প সমর্থকরা। তারা বলছেন, ২০১৬-র নির্বাচনের আগেও বিভিন্ন জরিপে রিপাবলিকান প্রার্থীকে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীর পেছনেই দেখানো হয়েছিল। তবে ফলাফলে দেখা গেছে তার উল্টোটা।