স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের প্রথম সংগঠন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের বর্ণাঢ্য অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে। কমিউনিটিতে নেতৃত্বদারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে গত ২৮ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বেলাজিনো পার্টি হলে উপচেপড়া মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে এই অভিষেক সম্পন্ন হয়। তিন পর্বে বিভক্ত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিলো নব নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির পরিচিতি, ‘সাংবাদিক ফাজলে রশীদ সম্মাননা’ প্রদান, দ্বিতীয় পর্বে ছিলো শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং তৃতীয় পর্বে ছিলো সঙ্গীতানুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা নাহলে সাংবাদিকদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জিত হবে না। কোন কোন বক্তা তোষামুদীর সাংবাদিকতা পরিহার করে দেশ ও প্রবাসে তথা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং মিডিয়ার স্বাধীনতায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। খবর ইউএনএ’র।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ডা. ওয়াজেদ এ খানের সভাপতিত্বে এবং বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ও সম্প্রচারিতব্য চ্যানেল টিটি টিভি’র সিইও শিবলী চৌধুরী কায়েস, সাংবাদিক শেখ সিরাজুল ইসলাম ও নিউজ প্রেজেন্টার সাদিয়া খন্দকারের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রেসক্লাবের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও প্রেসক্লাবের উপদেষ্টাদ্বয় যথাক্রমে আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু ও মঈনুদ্দীন নাসের এবং প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা নিনি ওয়াহেদ, সাবেক সভাপতি যথাক্রমে মাহবুবুর রহমান, ডা. চৌধুরী সরওয়ারুল হাসান ও আবু তাহের, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম হোসেন, কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট এট লার্জ এর্টনী মঈন চৌধুরী এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন ক্লাবের সদস্য জাকারিয়া ভূইয়া। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। পরবর্তীতে প্রেসক্লাবের ২০২০-২০২১ সালের কার্যকরী পরিষদের নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনজুর আহমদ। নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা হলেন: সভাপতি- ডা. ওয়াজেদ এ খান, সহ সভাপতি- হাবিব রহমান, সাধারণ সম্পাদক- মনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ আলমগীর সরকার, অর্থ সম্পাদক- মমিনুল ইসলাম মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক- রশীদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক- সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, কার্যকরী সদস্য- শেখ সিরাজুল ইসলাম, এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, শিবলী চৌধুরী কায়েস (পদাধিকার বলে), হাসানুজ্জামান সাকি ও মোহাম্মদ সোলায়মান।
এরপর সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ‘সাংবাদিক ফজলে রশিদ সম্মাননা’ ক্রেস্ট প্রদান করা হয় সংগঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানকে। এসময় সাকী জাতীয় প্রেসক্লাকের সাবেক সভাপতি মরহুম সাংবাদিক ফাজলে রশীদ ও সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন।
সম্মাননা ক্রেস্ট প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি অভিভূত। মানুষের জানার এবং শেখার শেষ নেই। এখনো আমি জানার চেষ্টা করছি। আমি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে নিয়েছি। এই পেশার মর্যাদা আমি রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কখনো সাংবাদিকতার নীতিমালার সাথে আপোষ করিনি, আগামীতেও করবো। এই পুরস্কার দেয়ার জন্য নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি বাকি জীবনও সাংবাদিকতা পেশার সাথে থাকবো। সেই সাথে তিনি সব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি হাবিব রহমান ও স্মরণিকা সম্পাদনা কমিটির পক্ষে এবিএম সালহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক এখন সময় সম্পাদক কাজী শামসুল হক, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসন সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, সাপ্তাহিক জনতার কন্ঠ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, প্রবীণ প্রবাসী নাসির আলী খান পল, এনওয়াই ইন্স্যুরেন্সের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, সাপ্তাহিক রানার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সোসাইটির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুর রব মিয়া, অপর সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, বিপা’র এ্যানি ফেরদৌস, বিশিষ্ট রাজনীতিক জসীম উদ্দিন ভূইয়া, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, উৎসব ডট কমের ম্যানেজার সাঈদ আল আমিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট জয় চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মনজুর আহমদ নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের চমৎকার দিক হলো এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হচ্ছে এবং নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আশা করি নতুন কমিটি এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
নিনি ওয়াহেদ নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এবং প্রচারিত সকল সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা বক্তব্য রেখেছেন, এটা আমার খুব ভাল লেগেছে। তিনি বলেন, আজ সারা বিশ্বে যেভাবে মানবতার অবমূল্যায়ণ হচ্ছে, বাংলাদেশেও কমবেশি হচ্ছে। তবে আমার চেনতায় থাকবে ৭১ এবং মুক্তিযুদ্ধ।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান এবং প্রেসক্লাবের সাফল্য কামনা করেন।
মঈনুদ্দীন নাসের বলেন, আমাদের বড় প্রাপ্তি হচ্ছে আজকের অনুষ্ঠানে সকল মত এবং দলের লোকজন উপস্থিত রয়েছেন। সবাই তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। তিনি বলেন, আজকের নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, সারা বিশ্বের মিডিয়া ভঙ্গুর। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, আজকে সাংবাদিকদের মুখে তোষামোদী দেখে বিস্মিত হই, এটা কোনভাবে কাম্য নয়। ডা. চৌধুরী সরওয়ারুল হাসান নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আশা করি কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দ পত্রিকার সাথে থাকবেন এবং এই কম্যুনিটিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।
নাজমুল আহসান বলেন, আমরা সবখানেই পেশাদারিত্বের কথা বলি, কিন্তু মন থেকে সেজন্য কাজ করিনা। সাংবাদিকতাকে সঠিকভাবে পরিচারিত করতে হলে পেশাদারিত্ব সজায় রাখতে হবে।
কাজী শামসুল হক বলেন, আজকের সাংবাদিকদের মিলন মেলায় ছোট-বড় সবার কাজ থেকে শেখার রয়েছে। ভালো দিকগুলো শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকরা আরো সমৃদ্ধ হতে পারেন।
আবু তাহের বলেন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নিউইয়র্কে একটি পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান। এই সংগঠনের সাথে আমি শুরু থেকেই জড়িত। তিনি নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
রতন তালুকদার বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কমিউনিটি সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে। এজন্য মিডিয়াগুলোতে আরো পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানে সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতি প্রশংসার দাবী রাখে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে কমিউনিটি সেবায় আরো ভাল ভাল কাজ করতে পারি। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম হোসেন নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
মুশফিক ফজল আনসারি নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমি ডা. ওয়াজেদ এ খানকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি ডাক্তারী পেশা ছেড়ে সাংবাদিক হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি তখনই খুশি হবো যখন বাংলাদেশে পেশাধার সাংবাদিকতা ফিরে আসবে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। তিনি সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার আহবান জানান।
শাহাব উদ্দিন সাগর বলেন, সাংবাদিকদেও বিভক্তি বা একাধিক প্রেসক্লাব গঠনকে আমি পজিটিভ অর্থে দেখতে চাই। আমাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক। তাই বিভক্তিতে কোন সমস্যা দেখছি না। জহিরুল ইসলাম নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আসা করি তারা সেই কাজটি করে যাবেন।
এটর্নী মঈন চৌধুরী নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের এখন সচতেন হবার সময় এসেছে, নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বলা হয়। বিশ্বের অনেক পেশায় লাইসেন্স লাগে কিন্তু সাংবাদিকতায় লাইসেন্স লাগে না। আমাদের নতুন প্রজন্ম মূলধারার মিডিয়ায় কাজ করছেন, তাদের আমাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। মিডিয়ার কারণেই আমি আজকে এর্টনী। আমার সাফল্যও আপনাদের কারণে।
সভাপতি ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে প্রবাস কমিনিটিতে যারা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দেন এবং কম্যুনিটির সকল শ্রেণী পেশা মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। আমার সাংবাদিক সহকর্মীরা এসেছেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সদস্যরা সবাই পেশাদার সাংবাদিক। তিনি নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব যারা প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বিশেষ করে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সাংবাদিক ফজলে রশিদকে স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, আজকের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের পেশা পালনের পাশাপাশি কম্যুনিটির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। প্রবাসী সাংবাদিকরা যেভাবে কমিনিটির উন্নয়নে কাজ করছে, ঠিক তেমনিভাবে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উচিত সংবাদ মাধ্যমকে সহযোগিতা করা। তাদের সহযোগিতার কারণেই নিউইয়র্কে সংবাদপত্র শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। তিনি সাংবাদিকতায় পেশাধারিত্ব বজায় রাখার আহবান জানান।
বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শিবলী চৌধুরী কায়েস নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যারা এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের সকলের প্রচেষ্টায় এবং আপনাদের সহযোগিতায় আজকে এ পর্যায়ে পৌঁচেছে। তিনি আরো বলেন, আসলে আমরা সাংবাদিক সমাজ দ্বিধা বিভক্ত। কিন্তু আমাদের সংগঠনে সকল মতের সদস্য রয়েছে। আমি আশা করি নতুন কমিটি এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের আরো তিনটি সংগঠন রয়েছে। আমি এই সংগঠনে যোগ দেবার কারণ হলো আমি ঢাকায় যাদের অধীনে কাজ করেছি তাদের অনেককেই পেয়েছি এই সংগঠনে তাই আমি এই সংগঠনে যোগ দিয়েছি। তাদের ¯েœহেই থাকতে চাই।
মেরি জোবাইদা নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন আমি নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান হিসাবে নির্বাচন করছি। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতার কারণেই আমি নির্বাচনে দাঁড়াবার শক্তি এবং সাহস পেয়েছি।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মূলধারার রাজনীতিবি মুর্শেদ আলম, লং আইল্যান্ডে ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. শওকত আলী, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবিএম ওসমান গনি, গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী আজহারুল হক মিলন, সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, কার্যকরী সদস্য আজাদ বাকের, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনু, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল বাসির, মূলধারার রাজনীতিবিদ তৈয়বুর রহমান হারুন, কবি ড. মাহবুব হাসান, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, ড. বিলকিস রহমান দোলা, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, বাংলাদেশ সোসাইটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম, কবি এবিএম সালেহ আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, ফিরোজ আহমেদ, পারভেজ সাজ্জাদ, শামীম সাহেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, আল আমিন মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, অ্যাক্টিভিস্ট মীর মাসুম আলী, আবু হুরায়রা মসজিদের ইমাম মাওলানা ফায়েক উদ্দিন, প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ইউএসএ’র অন্যতম উপদেষ্টা আশিক খন্দকার শামীম, সাবেক সভাপতি ফরিদ খান, রাইটার্স ফোরাম অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আরীফ, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, কাজী তোফায়েল ইসলাম, এডভোকেট মজিবুর রহমান, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট আবু নাসের, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া, নূরুল ইসলাম বর্ষণ, দৈনিক কাজিরবাজার সিলেটের নির্বাহী সম্পাদক সুজাত আলী, আল নূর কালচারাল সেন্টারের প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল, মওলানা ফয়সল আহমদ জালালী, মুফতি আব্দুল মালেক, আসসাফা ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাওলানা রফিক আহমদ, আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা ওহীদ উদ্দিন, ইয়র্ক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জামিল আনসারী, হাফেজ মাওলানা কামিল আহমেদ, হাফেজ আলী আকবর, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বেলাল উদ্দিন, খায়রুল ইসলাম খোকন, এন ইসলাম মামুন, শাহেদ আহমেদ, আব্দুল বাসির খান, মাহবুবুর রহমান, মোজাফফর আহমেদ, সৈয়দ এম কবির, আবুল খায়ের আকন্দ, মতিন সরকার, শামীম আহমেদ, নাছির উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, কবি আবুল বাশার, স্বপন বড়–য়া, নওশেদ চৌধুরী, আবুল বশার মিলন, মিজানুর রহমান, শোটাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, শাহাদত হোসেন রাজু, কুমিল্লা সোসাইটির উপদেষ্টা আবুল বশার মিলন, সভাপতি আবুল খায়ের আকন্দ, সহ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ দাউদ, মোজাম্মেল হোসেন, আবুল খায়ের, আব্দুল হাকিম, রফিক আহমেদ, আবুল কাসেম, আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব ও রোকসানা মির্জা এবং কবিতা আবৃত্তি করেন দিমানিফাতিথি। এ ছাড়াও অভিষেক উপলক্ষ্যে ‘ভয়েস’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এর সম্পাদনায় ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আলমগীর সরকার।
অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন উৎসব ডট কম, পিপল এন টেক, এটর্নী মঈন চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মান্নান সুপার মার্কেট, এসেনসিয়াল হোম কেয়ার, হাসানুজ্জামান হাসান, জান ফাহিম, সাগর চাইনিজ, এটর্নী আফার বক্স, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, ইমিগ্র্যান্ট ইল্ডার হোম কেয়ার, বিছমিল্লাহ হালাল লাইফ পোল্ট্রি এন্ড ফিস মার্কেট, এনওয়াই ইন্স্যুরেন্স, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, রিটকেয়ার মেডিক্যাল অফিস, দি গ্রেটার নোয়াখালি সোসাইটি, আনোয়ার হোসেন, এটর্নী ব্রুশ ফিচার, জসীম উদ্দিন ভূইয়া, কাজী হোসেন নয়ন, মোহাম্মদ দিনাজ খান, ডাইরেক্ট হেলথ সোর্স হোম কেয়ার, জহিরুল ইসলাম, সেইফ হেলফ মেডিকেল কেয়ার, খলিল পার্টি সেন্টার, সারাহ কেয়ার ইউএসএ, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ ইনক, পার্ক চেস্টার ব্রঙ্কস রিয়েলেটি, খাবার বাড়ি, মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, কাজী তোফায়েল ইসলাম, ডা. তারেহরা নাসরিন, ডা. আতাউল ওসমানী, মক্কা মাল্টি সার্ভিস, এ এস এম রহমত উল্যাহ, দারুল উলুম আসসাফা ইনস্টিটিউট ইনক, পপুলার ড্রাইভিং স্কুল, আব্দুর রহিম বাদশা, মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন, নেসার আহমেদ, রুমা আহমেদ, ফাউন্ডেশন অব গ্রেটার জৈন্তা, বারী হোম কেয়ার, রফিক আহমেদ, জাহিদ খান, সিলেট ফার্মেসী, বাফেলো বাংলা, গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ রহমান আজাদ, ডা. চৌধুরী এস হাসান, স্টেলাল প্রিন্টিং, এ্যাফেডেবল সিনিয়র কেয়ার অব নিউইয়র্ক, এনএইচএআর।