সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা : চিফ প্রসিকিউটর দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : খন্দকার মোশাররফ জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাজেট ২০২৫-২৬ : যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে ‘ককটেল সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণ ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা জুলাই গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ভারতে ভয়াবহ দুর্যোগ: প্রাণ গেল ৩০ জনের বরিশালে জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঘাটতি মেটাতে বড় ঋণের পরিকল্পনা

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯

নতুন বাজেটে সরকারের ব্যয় মেটানোর জন্য সামগ্রিক ঘাটতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। ঘাটতির এ পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, ঘাটতি মেটাতে সরকারকে দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে। ঋণের অর্থের এ পরিমাণ বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ঋণের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি।

অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার বৈদেশিক উৎস থেকে ৭৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। সেখান থেকে ১১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধে খরচ হবে। ফলে সরকারের নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। ঘাটতির বাকি ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪৮ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে।

বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটে নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৪৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ অর্থবছরের মূল বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা নিয়ে ঘাটতি মেটানোর কথা বলা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিদায়ী অর্থবছরে মূল বাজেটে ব্যাংক থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ছিল। ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ১৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা নেওয়ার কথা বলা হয় সংশোধিত বাজেটে। আর বিদায়ী অর্থবছরজুড়ে বেশি হারে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাত থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ধার করার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ