শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বরূপকাঠির মাহামুদকাঠীতে চাদার দাবীতে ভাইয়ের উপর হামলা

স্বরূপকাঠির মাহামুদকাঠীতে চাদার দাবীতে ভাইয়ের উপর হামলা

পিরোজপুর প্রতিবেদক: আপন ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের শত্রুতা সহ চাদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলা করার অভিযোগ উঠেছে  মাহামুদকাঠীর মোঃ শামসু আকনের বিরুদ্বে। স্থানীয় সূত্র জানায়, জায়গা জমির রেশ ধরে ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা    মৃত হাসেম আলী আকনের ছেলে শামসু আকন পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে আপন ভাইকে বেধম ভাবে মারধর করেন। অভিযোগ উঠেছে শামসুর বিরুদ্বে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মোঃ শামসু আকন কৌসলে স্থানীয় মাস্তান দিয়ে আপন ভাই আঃ রহিমের কাছে ৫০. ০০০ হাজার টাকা চাদা দাবী করেন। আঃ রহিম চাদা না দিয়ে বরং কঠিন ভাবে প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি আপন ভাইয়ের কুটকৌশলী প্লানের কথা জেনে ফেলেন। আর তারই খেশারত স্বরূপ বদ চরিত্রের শামসু  ও তার ছেলে শরীফ গত মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের পর অতর্কিত হামলা চালায় এ বাহিনী। কোন কিছু আচ করার আগেই শামসু এলোপাথারী ভাবে  লোহার পাথর দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন আপন ভাই মোঃ রহিম আকনকে। প্রত্যক্ষ দর্শিরা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন মঙ্গল বার সন্ধ্যার পর মাহামুদকাঠী বাজারের মধ্যে আইউব আলী দোকানদার ও পল্লী চিকিৎসক  মোঃ কুদ্দুছ মিয়ার চেম্বারের সামনে বসে হঠাৎ অতর্কিত  হামলা করেন শামসু। এ সময়ে স্থানীয় লোকজন কোন কিছু আচ করার আগেই শামসু মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। শামসু ও তার ছেলে এ হামলায় অংশ নেয়।
স্থানীয় বাজারের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই শামসুর পাথরের আঘাতে রহিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বাজারের লোকজন তড়িৎগতিতে আহত রহিমকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রত্যক্ষ দর্শিরা আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পথে রহিমের আঘাতের স্থান থেকে প্রচন্ড রক্ত খরন হয়। এ ব্যাপারে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক  জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আপাতত রোগীর অবস্থা ভালো নয়। দু একদিন পর বুঝা যাবে সব কিছুর। তবে মাথায় আঘাত সহ মুখ মন্ডলে ক্ষতের আলামত রয়েছে। এদিকে এলাকার লোকজন সহ রোগীর পরিবার সরাসরি স্থানীয় মুহিদ  মেম্বরকে দোষারুপ করেন। মেম্বরের ইন্দনে এ জাতীয় ন্যাক্কার জনক ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান। আপন  ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধের সব কিছুই স্থানীয় মুহিদ মেম্বর জানতেন বলে স্থানীয়ওরা জানান। তাছাড়া মুহিদ মেম্বরকে টাকা পয়শা সহ এলাকার  চার পুলের বেশীর ভাগ সুবিদা আঃ রহিম আকনই দিতেন। আঃ রহিমের স্ত্রী সরাসরি মেম্বরকে দোষারুপ করেন মিডিয়ার সামনে। তবে এটাও সত্য প্রমান হয় জেলার মিডিয়া কর্মী মেম্বরকে গত বুধবার রাত্রে ফোন  দিয়ে ঘটনার কথা জানতে চান। মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে মেম্বর বলেন আসলে আমি ঘটনার  কিছুই জানি না। সব কিছুই ভূয়া তথ্য।   অথচ গতকালই মেম্বরই অতি উৎসাহী হয়ে টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী ও চাদাবাজদের পক্ষে থানায় দালালী করার জন্য ব্যাস্ত সময় পার করেন।
সর্বশেষ রোগীর পরিবার ন্যায় বিচারের জন্য প্রশাসন ও মিডিয়ার শরনাপন্ন হন। তবে প্রাথমিক  ভাবে আঃ রহিমের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। তবে এখনও প্রর্যন্ত কোন  ধরনের মামলা হয়নি। তবে মাহামুদকাঠী এলাকায় মেম্বর সহ শামসু আকনকে ঘৃণার চোখে দেখছে এলাকাবাসীরা। এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের লোকজন মিডিয়াকে বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ের দ্বন্ধের পিছনে মেম্বরের হাত রয়েছে বলে জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877