শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামি রিপন নাথ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে রিপন নাথ জানায়, পায়ের কাছে ঘুমোতে বাধ্য করায় রাগের মাথায় সে অমিতকে ইট দিয়ে আঘাত করেছিল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিপন নাথ যেসব তথ্য দিয়েছিল জবানবন্দিতেও প্রায় একই কথা জানায়, এমনটাই বলেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে রিপন নাথ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সে জানায়, ঘটনার রাতে অমিত মুহুরীর সঙ্গে ঘুমোনোর জায়গা নিয়ে গ-গোল হয়। অমিত তাকে পায়ের কাছে ঘুমোতে বাধ্য করে। এতে রাগের মাথায় সে অমিতকে ইট দিয়ে আঘাত করে। সে একাই অমিতকে খুন করেছে বলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এর পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ মে রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অমিতকে গুরুতর আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় পরদিন নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ। এতে ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষের আরেক কয়েদি রিপন নাথকে (২৭) আসামি করা হয়। একই কক্ষে ছিল বন্দি অমিতও। চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে অ্যাসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘিতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ অমিত মুহুরী (৩২) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।