বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, দাবি চরমোনাই পীরের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দলগুলোর যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়: তারেক রহমান এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অবহেলায় এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ দলকে না জানিয়ে কক্সবাজারে, ৫ নেতাকে শোকজ এনসিপির পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৭৬ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক তারেক রহমানের ১৫ দিন পর মাইলস্টোনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনে ছাত্রদলের নিন্দা, ছাত্রশিবির বলছে ‘কুতর্ক ও মব’

অভিনয় ও রাজনীতিকে বিদায় জানালেন সোহেল রানা

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই সিনেমার সঙ্গে জড়িত কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’র প্রযোজক হিসেবে শোবিজে পা রাখেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। এটি মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে। আর অভিনেতা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে। কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে, ‘মাসুদ রানা’ সিনেমা দিয়ে। এর পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। ৫২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায়।

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সরব ছিলেন সোহেল রানা। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় জানালেন গুণী এই অভিনেতা। জানালেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তাকে আর দেখা যাবে না।

সোহেল রানার কথায়, ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনও বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। তবে এখনও একটা সিনেমা পরিচালনা করার শখ আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে বয়সে আর কুলাবে না।’

মূলত বয়সের কারণেই সোহেল রানার এমন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন আমার ৭৯ বছর। অভিনয় ও রাজনীতি দুটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হলে অনেক অ্যাক্টিভিটি করা প্রয়োজন, প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন। শারীরিক অবস্থার কারণে এগুলো তো করতে পারছি না। এখন থাকা মানে জোর করে থাকা।’

নিজের আক্ষেপের কথাও জানালেন সোহেল রানা। তার কথায়, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

এদিকে, সোহেল রানাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। এটি মুক্তি পায় চলতি বছর জানুয়ারিতে। ১৩ হলে মুক্তি পাওয়া সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশির সরদার, মায়িশা প্রাপ্তি, প্রয়াত মাসুম আজিজ, বড়দা মিঠু, সমু চৌধুরী, এলিনা শাম্মি, ওমর মালিক, আমির সিরাজী, শবনম পারভীন প্রমুখ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ