স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে নেই তামিম ইকবাল। গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় তা জানিয়ে দেয় বিসিবি। সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে বুধবার বিকেল ৪টায় ভারতের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
তামিম বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে না থাকায় নানা মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়। দেশ সেরা এই ওপেনারের ভক্তরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। গতকাল বাংলাদেশ দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর এক ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন তামিম।
গুঞ্জন উঠেছিল, তামিম বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না। এমন শর্ত দেওয়ায় তাকে দলে রাখা হয়নি। তবে এমন কথা ভিডিও বার্তায় উড়িয়ে দিয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সময়, কোনো মুহূর্তে, কাউকেই বলি নাই ৫টি ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এই কথাটা কালকে নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন) ভাইও স্পষ্ট করেছে। এই একটা মিথ্যা কথা। আমি জানি না, এটা মিডিয়াতে কীভাবে ছড়িয়েছে বা কে ছড়িয়েছে।’
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি তামিমের বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্রের সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন। যদিও তার মতে বিসিবি এই তদন্ত করবে না।
পাইলট বলেন, ‘তামিম কিন্তু একটা কথা বলেছে, বোর্ডের কোনো একজন তাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, তুমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং করবা না, মিডলঅর্ডার ব্যাটিং করবা। আপনারাই বলেন কোন কারণে তাকে এ ধরনের কথা বলা হয়। দেখেন একটা প্লেয়ার সারাজীবন ওপেন করে আসছে এবং জানেন যে সে বাংলাদেশ টিমের ওপেনার। তাকে কিভাবে এটা বলতে পারে। আমি জানি না কি প্ল্যান। এখানে এটাই বোঝা যাচ্ছে তামিমকে আপনি আউট করতে চাচ্ছেন। ওপরে একটা ওপেনার সেট করব, সে পারফর্ম করলে তুমি সাইজ! আমার কাছে এটা দুঃখজনক। তবে টিম বাংলাদেশ ভালো করুক এই দোয়া করি। দিন শেষে কিন্তু আমাদেরই একটা ইমেজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি বলব যে এটার তদন্ত অবশ্যই করা উচিত। আমি জানি ক্রিকেট বোর্ড তদন্ত করবে না। কেননা বোর্ডের অনেক পাওয়ারফুল লোক এখানে জড়িত। কিন্তু কারা কারা সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন কথা বলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে ধরা উচিত, তদন্ত করা উচিত যে, কাদের থেকে এই ইনফরমেশন পেয়ে এমন নেগেটিভ নিউজ দিয়েছে। যেটা কোনো ঘটনাই না। একটা মিথ্যাকে সত্যি বানিয়েছে। আমার মনে হয় ট্র্যাপ করলেই কারা কারা ইনভলব সেটা বেরিয়ে আসবে।’
পাইলট বলেন, ‘যদি ক্রিকেট বোর্ড ধরতে চায়, তাইলেই বেরিয়ে আসবে এটা গুটি চালক কে বা কারা। আমি হয়তো জানি, কিন্তু আমি বলব না। এটা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বিষয়। ক্রিকেটের সার্কেলের মধ্যেই অনেকে জড়িত আছে। এই মানুষগুলোকে আমার ভাইরাস মনে হয়। এটা ভয়ানক। ক্রিকেট বোর্ডের এটা তদন্ত করা উচিত যে কারা বলেছে, তামিম ৫ ম্যাচ খেলবে অথবা সাকিব বলেছে তামিমকে নেব না।’