বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে পদত্যাগ করলেন খিজির হায়াত খান আর কোনো দিন ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে একমত হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে বিএসএফ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে কেউ আর ষড়যন্ত্র করার সাহস পাবে না : খন্দকার মোশাররফ নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চলমান অপচেষ্টা : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশকে নতজানু-শক্তিহীন ভাবার অবকাশ নেই: আসিফ নজরুল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয় : জামায়াতের আমির সর্বকালের তলানিতে পৌঁছেছে ভারতীয় রুপির দাম
ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার, অভিযোগের তির অন্যদিকে

ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার, অভিযোগের তির অন্যদিকে

সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটি প্রকাশ হয় ২০১৪ সালে। বইটি প্রকাশের পর পরই শুরু হয় ‘ঐতিহাসিক বিভ্রান্তি নিয়ে’ বিতর্ক। বইটির ৩২ পৃষ্ঠায় লেখা ছিল বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ডাক দিয়ে বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান….’। এরপর চলে গেল পাঁচ বছর।

এ বিষয়ে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন এ কে খন্দকার ও তার স্ত্রী ফরিদা খন্দকার। সম্মেলনে তারা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান। একই সঙ্গে অভিযোগের তির ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাফরউল্লাহ, মইদুল হাসানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের দিকে ছোড়েন।

এ কে খন্দকারের শ্রবণ শক্তির অভাব থাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তার স্ত্রী ফরিদা খন্দকার। তিনি বলেন, ‌‘বইটি প্রকাশের পরের দিনই ও ( এ কে খন্দকার) এবং আমি সংশোধন করার কথা ভাবি। কিন্তু উনারাই আমাদের তা করতে দেয়নি। বরং তারা বলেছেন, বন্ধুকের গুলি একবার ছোড়লে আর তার পিছনে ছুটে লাভ কী!’

‘এরপর প্রথমা প্রকাশনের প্রকাশক মতিউর রহমানকেও আমি ফোনে চেষ্টা করি, কিন্তু পাইনি। একবার পেয়ে বলি যে এত বড় ভুল কীভাবে হলো? তখন তিনি বললেন, এটা তো আমি দেখি না। এর বানান, ব্যাকরণগত ভুল এগুলো দেখার জন্য আলাদা লোক আছে। এরপর আর তাকে পাইনি, আর সংশোধনও করতে পারিনি’, বলেন ফরিদা খন্দকার।

এতদিন বিষয়টি পরিষ্কার করেননি কেন সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে এ কে খন্দকারের স্ত্রী বলেন, ‘বইটি প্রকাশের পর কী যে যন্ত্রণা সহ্য করেছি তা বলার মতো নয়। এইজন্য আমরা চাইনি তাদের নাম বলে তাদেরকে এই যন্ত্রণায় ফেলি।’

এই সংবাদ সম্মেলন তো পাঁচ বছর আগেই করতে পারতেন এই প্রশ্নের জবাবে ফরিদা খন্দকার বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে সখ্যতা না থাকায় চেষ্টা করেও তা করতে পারিনি।’

প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইটির ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মুদ্রণ বেড়িয়েছে। তারপরও এই জায়গার সংশোধন করা হলো না। আপনারা এর বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিবেন কিনা, জানতে চাইলে ফরিদা খন্দকার বলেন, ‘আসলে তাদের সঙ্গে ওইভাবে যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন আমরা চাইবো তারা সংশোধন করুক।’

এর আগে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ‘‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের লেখক এ কে খন্দকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণেই যে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল, তা আমি মনে করি না। এই ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল ‘‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’’। তিনি যুদ্ধের ডাক দিয়ে বললেন, ‘জয় পাকিস্তান!..’ এই অংশটুকুর জন্য দেশ প্রেমিক অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এই তথ্যটুকু যেভাবেই আমার বইয়ে আসুক না কেন, এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার এবং বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কখনই ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বলেননি। আমি তাই, আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃ্ষ্ঠার উল্লেখিত বিশেষ অংশ সম্বলিত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং একই সঙ্গে আমি জাতির কাছে ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877