স্বদেশ ডেস্ক:
টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলো রংপুর রাইডার্স। শেখ মেহেদীর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের স্থান পরিবর্তন না হলেও নকআউট পর্বের পথে এগিয়ে গেল ২০১৭ বিপিএলে শিরোপাজয়ীরা।
সোমবারও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ নাইম শেখ। ৫ বল খেলেও ডাক মেরে ফিরেছেন রংপুরের এই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রাখেন রনি তালুকদার ও শেখ মেহেদী। ৪৫ বলে ৬৩ রান যোগ করেন দুজনে মিলে। তবে নবম ওভারে ২৮ বলে ২৯ রান করে রনি তালুকদার ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে আধিপত্য ধরে রেখে নিজের মতো খেলতে থাকেন শেখ মেহেদী।
রনি তালুকদার ফেরার পরের ওভারেই ফেরেন ৪ নাম্বারে ব্যাট করতে আসা শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডারের ব্যাটে আসে মোটে ৬ রান। ১০ বলে সমান ৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও, সৌম্য সরকারের শিকার তিনি। তবে এরই মাঝে অর্ধশতক তুলে নেন মেহেদী, মাত্র ৩১ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
যদিও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে যেতে পারেননি মেহেদী, তবে দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছে দেন তিনি। মোহাম্মদ নাওয়াজের সাথে তার ২৮ রানের জুটি ভাঙে দলীয় ১০৫ রানে তিনি আউট হলে। আউট হবার আগে ৪৩ বলে ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ৭৩ রান করেন শেখ মেহেদী। বাকি পথটা নাওয়াজ আর ওমরজাই মিলে পাড়ি দেন। দুজনের ১৫ বলে ২৩ রানের জুটিতে এক ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায় রংপুর রাইডার্স।
এর আগে রংপুর রাইডার্সকে জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় ঢাকা ডমিনেটর্স। উসমান ঘানির অপরাজিত ৫৫ বলে ৭৩ রানে মান বাঁচানো এই সংগ্রহ পায় ঢাকা। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। ইনিংস বড় করতে পারেননি নাসির হোসেন, ২২ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাটে।
ঢাকার উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দ্বিতীয় ওভারেই, ৫ রান করে ওমরজাইয়ের প্রথম শিকার হন মিজানুর রহমান। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকেও ফিরিয়েছেন ওমরজাই। আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো সৌম্য আজ ফেরেন মাত্র ১১ রানে। দাঁড়াতে পারেননি এলেক্স ব্লেকও, শেখ মেহেদীর শিকার হয়ে ফিরেন ৪ রানে। দলের সংগ্রহ তখন ৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন উসমান ঘানি। প্রথমে মোহাম্মদ মিথুনের সাথে গড়েন ৪১ রানের জুটি। মিথুন আলি ১৪ রান করে রাকিবুল হাসানের শিকার হলে এবার অধিনায়ক নাসির হোসেনকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ঘানি। তোলে নেন আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতক। সেই সাথে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৫ রান।
নাসির হোসেন জ্বলে উঠার আগেই ফেরেন রানআউটে কাটা পড়ে। আউট হবার আগে তার ব্যাটে আসে ২২ বলে ২৯ রান। তবে শেষ ওভারে ১৮ রান এনে ইনিংসটা সমৃদ্ধ করেন উসমান ঘানি। দল থামে ৫ উইকেটে ১৪৪ রানে। উসমান ঘানি করেন ৫৫ বলে ৭৩ রান।